বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বারবার চীন ভারতকে খুচিয়ে এসেছে । কিন্তু এবার বোধহয় নরেন্দ্র মোদীর কুটকৌশলে পা পিছলাতে চলেছে । বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের সাথে চীনের এই সংঘাতের ফলে চীনের যে প্রভাবশালী তকমা রয়েছে সেটি আগামী দিনে অনেক কমে যাবে ।

সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীন সংঘাত অনেক দিন ধরেই চলে আসছে । এই মুহূর্তে ভারত চীন যুদ্ধ হলে চীনকে ভারত হয়ত হারাতে পারবে না, কিন্তু ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা ভারতের আছে, এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞমহল । লাদাখ সীমান্তে ভারত চীন সংঘাতে দুই দেশের মধ্যে সমস্যার সমাধান সুত্রের জটিলতার চূড়ান্ত ফলাফল অনিশ্চিত হলেও জনপ্রিয় ভিডিও বিনিময় অ্যাপ্লিকেশন টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে গত সপ্তাহে নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের ঘটনার ফলাফল স্পষ্ট।

ভারতে যদি চীন অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে আগামী দিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশও ভারতের পথে হাটার সাহস দেখাতে পারে । আর এই সাহসই  যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে বিশ্বের শক্তিশালী প্রযুক্তিগত শক্তি হিসেবে চীনের উত্থানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা মাটি করে দিতে পারে। এবিষয়ে ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের চীন বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘ভারতের বাজার হারালে চীনা কোম্পানিগুলো আর বাস্তবে বৈশ্বিক কোম্পানি থাকবে না।’ তিনি মনে করেন, যদি ভারত এটা করতে পারে তবে অন্যান্য দেশও এটা করতে পারবে।

চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রও টিকটকসহ অন্যান্য চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ্লিকেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞার চিন্তা-ভাবনা করছে। অস্ট্রেলিয়াও টিকটক নিষিদ্ধের কথা ভাবছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে ধিরে ধিরে চীনের প্রভাবশালী তকমা অন্যান্য দেশের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে । এই কারনেই, ভারত চীনা অ্যাপ বা পণ্য ধিরে ধিরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় , বৈদেশিক সম্পর্ক পর্ষদের চীনা প্রযুক্তি সংস্থা বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন অ্যাডাম সিগাল মন্তব্য করেছেন, চীনের বর্তমান ক্ষতিটা ভারতে সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে।

এর আগেও ভারতের বিরোধীতা কার্যকরভাবে দরিদ্র দেশগুলোতে ফেসবুকের ‘ফ্রি বেসিকস’ পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দিয়েছিল। প্রযুক্তি ছাড়াও অনেক দেশ চায়নার ‘বেল্ট রোড’ উদ্যোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে যা প্রথম ধ্বনিত হয়েছিল ভারতে তিন বছর আগে। ফলে এবার ভারত চীনের বিরুদ্ধে একে একে যে সব পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তাতে আগামী দিনে চীনের গুরুত্ব অনেকটাই কমে যেতে বাধ্য ।

পম্পেওর মন্তব্যগুলো সবচেয়ে সুস্পষ্ট উদাহরণ । তিনি জানিয়েছিলেন,  ‘আমরা কেবল জানবো যে, আগামী মাস ও বছরগুলোতে অভ্যন্তরীণ ভারত কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে, ভারতের অ্যাপ্লিকেশন নিষেধাজ্ঞা যদি থেকে যায় তবে শি জিনপিংয়ের হিমালয় সুবিধা তার দেশের জন্য (আমেরিকার) অত্যন্ত মূল্যবান হবে।’

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.