প্রত্যেক বছর ঈদ উল আযহা নিয়ে তৈরি ব্যবসার বড় একটি মৌসুম। কেউ গরু বিক্রি করে আবার কেউ কেনে। কেউ তা জবাই করে। এরকম আরেকটি ব্যবসা গরুর চামড়া বিক্রি করা। সরকার দাম বেধে দিলেও ব্যবসায়ীরা তোয়াক্কা করেন না।

কুরবানী যারা দেন তারা বেশীর ভাগিই স্থানীয় এতিমখানায় দান করেন। এছাড়া অনেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করেন। লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম ৩০০ টাকা। ট্যানারি ব্যবসায়ীদের পক্ষে জানা যায় যারা কুরবানি দেয় তারা চামরাকে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করে না। আর যদি কোন ব্যক্তি সঠিক সংরক্ষণ করে ১০ থেকে ১৫ দিন রাখতে পারেন তাহলে ভাল দাম পাবেন।

এ খাতে ব্যবসায়ীয়েদের সূত্রে জানা যায় আর্থিক সংকটে আড়তদাররা চামড়া কিনতে পারেন না। তবে অনেকের অভিমত চামড়ার দাম নিয়ে অন্তরালে হয় খেলা যাতে নিজেরা লাভবান হতে পারে। রাজধানী ঢাকাতে চামড়া ক্রয় বিক্রয়ের সঠিক দাম না থাকায় সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশের হস্তক্ষেপ করতে হয়।

ট্যানারি মালিকদের সংগঠনের মাধ্যমে জানা যায় তারা এখনও চামড়া কেনা শুরু করেননি এবং শুরু করবেন আরো কয়েকদিন পরে। তাদের মতে লবণ দিয়ে চামড়া সরক্ষণ করে কিছুদিন পরে বিক্রয় করলে তারা সরকার নির্ধারিত দাম পাবেন। হুজুগে পড়ে চামড়া বিক্রয় করলে সঠিক দাম পাবেন না।

বাংলাদেশে ট্যানারি শিল্প একটি বড় শিল্প খাত। ১৯৪০ সালে নারায়নগঞ্জে রণদাপ্রসাদ সাহার হাত ধরে ট্যানারি শিল্পের যাত্রা শুরু। পাকিস্তান হওয়ার পর এ শিল্পটি মূলত অবাঙ্গালি ব্যক্তিরাই পরিচালনা করত। স্বাধীণতার পর বাঙ্গালিদের হাতে এলেও এই শিল্পটি সঠিক তদারকির অভাবে এখনও সমস্যায় রয়ে গেছে।

Mr. Shuva is a News and Content Writer at BongDunia. He has worked with various news agencies all over the world and currently, he is having an important role in our content writing team.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.