সারাদেশে সব ধরনের ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ওষুধের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বিদেশ থেকে আমদানি করা লাইসেন্সবিহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ওষুধের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানিকৃত লাইসেন্সবিহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
‘দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ বেড়েছে’ শীর্ষক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের তৈরি ওষুধের দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনেক ওষুধের দামও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যান্টিবায়োটিক বড়ি, ইনসুলিন এবং ডায়াবেটিস রোগীদের ইনজেকশন।
এ ছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন ওষুধ ও ভিটামিনের দামও বেড়েছে। জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন রোগের সিরাপও বাদ পড়েনি। বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও বিক্রয় রাজস্ব হিসাব পর্যালোচনা করলে জানা যায়, দাম বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক। প্রতিবেদনে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে।