দীর্ঘ ৩১ দিন পর সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ জন নাবিক। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ০৮ মিনিটে জলদস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে পড়ে। দেশটির স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য পুন্টল্যান্ডে জলদস্যু চক্রের অন্তত আট সদস্যকে উপকূলে পৌঁছানোর পর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পান্টল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যম গারো অনলাইন আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
12 মার্চ, সোমালি জলদস্যুরা ভারত মহাসাগরে কয়লা বোঝাই এমভি আবদুল্লাহকে হাইজ্যাক করে। এসময় জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশী নাবিককেও জিম্মি করা হয়। নাবিকদের বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করা হয়। কূটনৈতিক তৎপরতাও চলছে। কিন্তু অগ্রগতিতে সময় লেগেছে।
জাহাজের জিম্মি নাবিকরাও বন্দিদশায় ঈদ কাটিয়েছেন। তবে ঈদের দিন তাকে ভালো খাবার দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করা হয়। জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রাম এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহরুল করিম এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদের কাছ থেকে বার্তা পান। বার্তায় বলা হয়, জিম্মি জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। নাবিকরা দুবাই যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে গারোইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছিনতাইকৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্তির পরপরই ৮ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে পান্টল্যান্ড পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আটজনের সবাই এমভি আবদুল্লাহর ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।
“মুক্তিপণের মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্ত করা অন্যান্য জলদস্যু গোষ্ঠীকে উত্সাহিত করতে পারে,” কর্মকর্তা বলেছিলেন।