বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আগামী দিনে করোনাভাইরাসের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে কিনা সেটি পরের প্রশ্ন । তবে এই মুহূর্তে ক্রমশ ভারতে থাবা বসাতে চলেছে করোনাভাইরাস । ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয়  স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন সিং জানিয়েছেন, ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। অথচ গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৬ । আজ বুধবার সকালে ২৮ ।

পরিসংখ্যানগত দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে বুধবার সকাল পর্যন্ত  ৩ হাজার ১১৯ জন মারা গেছেন এবং ৯০ হাজার ৪৪১ জনেরও বেশি মানুষকে এই ভাইরাস সংক্রামিত করেছে। যার মধ্যে চীনে মৃত ২ হাজার ৯৪৪ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ১৫১ জন। এত দিন আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন দেশবাসী । এবার হয়ত সেই আতঙ্ক হাজির !

করোনাভাইরাস নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছু গাইডলাইন বা নির্দেশক জানানো হয়েছে । গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিজস্ব টুঁইটার অ্যাকাউন্ট থেকে । সেখানে জনসচেতনতা বাড়াবার জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে । জানানো হয়েছে প্রাথমিকভাবে কিভাবে করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় বা কিভাবে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে কিম্বা কীভাবে সাবধান হওয়া সম্ভব ? এছাড়া হেল্প লাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে ।

হেল্প লাইন নম্বর হল – 91-11-239+78046

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অসুস্থ ব্যক্তির সাধারণত ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণ দেখা যায়। তিনি যদি হাঁচেন বা কাশেন, তাহলে তাঁর সেই হাঁচ বা কাশি থেকে ভাইরাস ঢুকতে পারে সুস্থ মানুষের শরীরে। সুস্থ মানুষের চোখ, নাক ও মুখ দিয়ে ঢুকতে পারে সেই ভাইরাস।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে পাশের ব্যক্তির সঙ্গে অন্তত ১ মিটার বা ৩ ফুটের দূরত্ব রাখা উচিৎ। এই ভাইরাস  ছড়ানো কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে ভাইরাস। তাই কয়েকটি জিনিস থেকে সাবধানে থাকা অত্যন্ত জরুরি। সেগুলি হল, পেন, দরজার নব, ট্রেনের হাত রাখার জায়গা, চায়ের কাপ, টিস্যু, সিঁড়ির হাতল, লিফটের সুইচ, কম্পিউটারের মাউস, চামচ বা চপস্টিক।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে কিছু গাইড লাইন দিয়েছিল । গাইড লাইনে WHO জানিয়েছে  করোনাভাইরাস ঠেকাতে –

১। মৃত পশুপাখির সংস্পর্শে না আসা।

২। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শ ত্যাগ করা । আক্রান্তদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাওয়া অথবা একই বিছানায় শোয়া কখনোই নয় ।

৩। সামান্য সর্দি-কাশি-জ্বরেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। শ্বাসকষ্টকে অবহেলা করা যাবে না কোনওভাবেই।

৪। খোলা মাছ বা মাংসের বাজারে গেলে হাত-পা ভাল করে ধোয়াটা আবশ্যক। পোষ্যের শরীরে হাত দিলে সেই হাত কখনওই নাকে-চোখে বা মুখে দেওয়াটা ঠিক হবে না।

৫। মাংস ভাল করে রান্না করে খাওয়াই উচিত। অর্ধসিদ্ধ মাংস বা দুধ না ফুটিয়ে খাওয়া যাবে না ।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.