বিভিন্ন রকমের ডালের রেসিপি –

ডাল যাকে গরিবের আমিষ বলা হয়। বাঙ্গালীর পাতে ডাল না হলে মনে হয় যেন খাওয়াই হলো না। আর তার সাথে যদি হয় ডালের সাথে মাছের মাথা বলাই লাগে না। আবার কখনো যদি ডালের সাথে সাথে টক বা তিতা। অনেকধরনের ডাল পাওয়া গেলেও মূলত মুসর, খেসারি, মুগ, ছোলা, মটর, বিউলি, অড়হর, মাষকলাই জাতীয় ডাল বেশী খাওয়া হয়। দামে সস্তা তার উপর প্রোটিন বেশি তার সাথে লাইসিন, শর্করা, চর্বি, খনিজ লবন থাকায় ডালের চাহিদা অনেক বেশি। কলেজের হোস্টেলে ছাত্ররা অনেক সময় জলের বদলে ডাল খেয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে ডালে গমের তুলনায় দ্বিগুন আর চালের তুলনায় তিন গুণ প্রোটিন আছে। ডালের বড়ি তাতো বাঙ্গালির এক অন্যতম আবিস্কার। বাঙ্গালি তার গুরুত্ব না দিয়ে আজও পেটেন্ট না চাইলেও বিদেশিরা ঠিকই খাবারের সাথে ডালের বড়ি চেয়েই খায়। আজ আপনাদের সামনে বহুল প্রচলিত ডালের কয়েকটি রেসিপি নিয়ে আসলাম ।

ডালের রেসিপি

ডালের ধোকলাঃ- 

ধোকা যদি না খেতে চান তবে ধোকলা খান।

উপকরণ: অড়হড় ডাল, চাল, আদা, কাঁচা লঙ্কা, দই, বেকিং পাউডার, নুন ।

প্রণালী: অড়হড় ডাল‚ চাল রাতভর ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন | আদা‚ লঙ্কা বেটে নিন | সব উপকরণ মিশিয়ে সামান্য জল দিয়ে ফেটিয়ে থকথকে করে নিন | ছোটো ছোটো বাটিতে ঢেলে ভাপে রান্না করুন | যদি টক দিতে চান তবে মিশ্রনটিতে ২ বড় চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নেবেন | ধোকলা তৈরি |

ডালের রেসিপি

পাঁচমিশালি ডালের ভুনা :

পাচ মিশালি নামেই তার জাদু। পাচ পদ দিলে কি না ভাল হয়।

উপকরণ : পাঁচ রকম ডাল মেশানো, সয়াবিন তেল, লবন, আদাবাটা, পেঁয়াজকুচি, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, কাচাঁমরিচ, রসুনবাটা, পানি ।

প্রণালি : প্রথমে ডাল ধুয়ে নিন। তারপর চুলায় অল্প পরিমানে পানি দিয়ে ডাল দিয়ে বসিয়ে দিন। এবার হলুদ গুড়া,মরিচ গুঁড়া, স্বাদমত লবন ও আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ডাল ভালোভাবে ঘুটে  পানি দিয়ে ১০ – ১৫  মিনিটের মত রান্না করুন। তারপর কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে ৫ – ১০ মিনিট  রান্না করে নিন। অন্য একটা  পাত্রে পরিমানমত সয়াবিন তেল দিয়ে পেঁয়াজকুচি গুলো ছেড়ে দিন। পেয়াজ গুলো ভাজা ভাজা হলে সেগুলো ডালে দিয়ে দিন। তারপর ৫ – ৬ মিনিটের মত রান্না করে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

ডালের রেসিপি

টমেটোর ডাল :

টক ডাল হিসাবে অনেক ধরনের টক জাতীয় ফল ব্যবহার করা হয়। চালতা, আম, আমড়া, তেতুল, টমোটে, কেওড়া। আমরা টক ডাল হিসাবে টমেটোর রেসিপি আপনাদের দিচ্ছি। এখানে অন্য টক ফলও দিতে পারেন।

উপকরণ : মসুরের ডাল, টমেটো, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ ফালি করে কাটা, ধনেপাতা কুচি, রসুন কুচি , লবণ, সরিষার তেল, হলুদ গুঁড়া, পানি ।

প্রণালি : মসুরের ডাল ভালো ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে রাখুন। তারপর একটি কড়াইতে সরিষার তেল ঢেলে গরম করে তাতে পেঁয়াজের কুচি গুলো ভেজে নিন। তারপর মসুরের ডাল, রসুন কুচি , হলুদ গুঁড়া এবং পরিমান অনুযায়ী লবণ দিয়ে অর্ধেক রান্না করতে হবে। তারপর  টুকরো করা টমেটো , কাঁচামরিচ এর ফালি, ধনেপাতা কুচি এবং অল্প পরিমানে পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করলে ডাল টা ঘন হয়। ডাল ঘন হয়ে আসার পর তা নামিয়ে পরিবেশন করুন।

ডালের রেসিপি

ডাল ডিম কারি :

ডালের রেসিপি

একে ডিম তার পর যদি থাকে ডাল তাহলে জিহব্বা কি ভাবে সামলাবে ডাল ডিম কারিকে।

উপকরণ : ডিম, ছোলার ডাল, পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, জিরার গুঁড়া, তেজপাতা, চিনি, তেল, ঘি, আস্ত জিরা টেলে গুঁড়া করা, দারচিনি গুঁড়া, লবণ ।

প্রণালি : প্রথমে ছোলার ডাল  ৫-৬ ঘন্টা বা কমপক্ষে ১-২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ৫ কাপ পানিতে  ডালগুলো ভালো ভাবে সিদ্ধ করে নিন। তারপর ডিম গুলো ভালো করে সেদ্ধ করুন। তেল কড়াইতে গরম করে পেঁয়াজ কুচি, তেজ পাতা এবং ২ – ৩ টি কাঁচামরিচ ছেড়ে দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। এবার এতে পৌনে এক চা চামচ জিরা টালা ,দারচিনি, অন্য সব  মসলা এবং হাফ কাপ পানি দিয়ে কষান।  তারপর, ডালে পরিমান মত লবণ ও চিনি দিয়ে অল্প কষিয়ে নিয়ে ডিম এবং ৪ – ৫ টি  কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে দিন।  ৩-৪ মিনিট সেদ্ধ করুন। ডাল বেশি ঘন হয়ে গেলে ১ বা দেড় কাপ পানি দিয়ে দিন। ডাল ফুটে উঠলে এতে ১ টেবিল চামচ ঘি, বাকি টালাজিরার গুড়া এবং দারচিনির গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। এরপর পছন্দমত ভাত বাবা রুটির সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ডালের রেসিপি

লাউ ডাল :

লাউ স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে শরীরকে ঠান্ডা করে। বিশেষ করে গরম কালে লাউ ডাল খুব ভাল। শাস্ত্রমতে ভাদ্রে লাউ খাওয়া নিষিদ্ধ তাই ভাদ্র মাসে এড়িয়েই যেতে পারেন লাউ ডাল।

উপকরণ : লাউ, মসুর ডাল, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, লবণ, কাঁচামরিচ, ধনে পাতা কুচি, রসুন বাটা, তেল।

রন্ধন  প্রণালি : প্রথমে লাউ এবং মসুর ডাল আলাদা আলাদা করে ধুয়ে রাখতে হবে।  তারপর একটি পাতিলে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজের কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে এক এক করে তাতে সব উপকরণ গুলো দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। মসুর ডাল ও লাউ তখন দেবেন না। এগুলো পরে যোগ করতে হবে। মসলা কষানো হয়ে যাওয়ার পর তাতে মসুর ডাল দিয়ে আবার একটু কষিয়ে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করুন।  তারপর তাতে  লাউ এর টুকরা গুলো দিয়ে আবার ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে।  এবার প্রায় ২০- ২৫  মিনিট পর লাউ ডাল বেশ খানিকটা মাখা মাখা হয়ে আসার পর তাতে জিরার গুঁড়া, কাঁচামরিচ ও ধনে পাতার কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার লাউ ডাল।

ডালের রেসিপি

মশলা মাখা বুটের ডাল :

বুটের ডাল রুটি বা পরটা দিয়ে খেতে বেশ ভাল। বুটের ডাল স্বাভাবিক একটু ঘন খেতেই সুস্বাদু লাগে।

উপকরন :  বুটের ডাল ,  পেয়াজ কুচি, পেয়াজ বাটা , আদা বাটা , রসুন বাটা , জিরা গুড়া , চামচ, ধনিয়া গুড়া , লাল মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া, টমেটো সস, গরম মশলা গুড়া, টালা জিরা গুড়া, কাঁচা মরিচ, লবন,  তেল, পানি।

রন্ধন প্রণালি : প্রথমে ডাল ধুয়ে একটা পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টাঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর অন্য একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে অর্ধেক টা তুলে রেখে দিন। তারপর বাকি ভাজা পেয়াজ গুলোতে সব বাটা মশলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপর এক এক করে মরিচের গুড়া, হলুদের গুড়া, ধনিয়া গুড়া ও জিরার গুড়া দিয়ে ভালো ভাবে  কষিয়ে নিন। তারপর ভিজিয়ে রাখা ডাল গুলো দিয়ে দিন। চুলায় মাঝারি আঁচে ৫-১০ মিনিট রান্না করুন। তারপর আরো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করে টমেটোর সস, গরম মশলা ও লবন দিয়ে ভালো করে  নেড়ে দেড় বা দুই কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর দেখুন ডাল নরম হয়ে গেছে কি না । তারপর টালা জিরার গুড়া, কাঁচা মরিচ  ও ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রান্না করুন। তেল  ডালের উপরে উঠে আসার পর পেয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। ব্যস কমপ্লিট হয়ে গেল ঝাল মসলা মাখা বুটের ডাল। এবার রুটি বা ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ডালের রেসিপি

ডাল মাখানি :

ডালের রেসিপি

ডাল মাখানি উত্তর ভারতের একটি বহুল প্রচলিত খাবার। আর এই পদ নিদ গুণে জায়গা করে নিয়েছে সকলের কাছেই।

উপকরন : বুটের ডাল , মুগের ডাল , রাজমা, আদা বাটা, রসুন বাটা, টক দই, ক্রিম, মরিচ গুঁড়া, লবণ , দারুচিনি, চিনি , মাখন।

রন্ধন প্রণালী : বুটের ডাল ও মুগ ডাল সারা রাত ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর রান্না করার আগে ভালো ভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। রাজমা আলাদা একটি পাত্রে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার একটা কড়াইয়ে মাখন দিয়ে, গলিয়ে নিয়ে  পেঁয়াজ কুচি লাল হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। লাল হয়ে গেলে সব বাটা মশলা, গুঁড়া মরিচ এবং গুঁড়া মশলা গুলো দিয়ে ভালো ভাবে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো শেষ হলে তাতে ডাল, লবন ও চিনি দেয়ার পর একটু নেড়ে নিয়ে পানি দিয়ে দিন। টক দই বা ক্রিম দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। তারপর  পছন্দমতো মাখা মাখা হয়ে গেলে অন্য একটি পাত্রে বা কড়াইয়ে মাখন দিয়ে শুকনা মরিচ ফোড়ন দিয়ে ওই  রান্না করা ডালের ওপর ঢেলে দিন। এইবার আপনার ডাল মাখনি খাবার টেবিলে গরম গরম পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।

ডালের রেসিপি

পালং শাকের ডাল :

সবজ্বির সাথে ডাল অনেকটাই ভাল লাগে। শীত কালে ফুল কপি বা পাতা কপি ডালের সাথে চমৎকার খাবার তৈরি করে।

উপকরণ : মসুর ডাল, পালং শাকের কুচি, টমেটোর টুকরা, পেঁয়াজ কুচি, আদা এবং রসুন বাটা, জিরা গুঁড়া , হলুদ  এবং মরিচ গুড়া, ঘি, লবণ, আস্ত টালা শুকনা মরিচ, তেল।

প্রণালি : প্রথমে কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম করে পেয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিন। এবার আদা- ও রসুন বাটা, হলুদের গুড়া , মরিচ, জিরার গুঁড়া দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মশলা ভালো করে কষিয়ে নিন। তারপর এতে ডাল ঢেলে দিয়ে রান্না করুন। এবার লবণ দিন পরিমান মত । ডাল  ভালো মত ফুটে উঠলে এতে কুচি করা পালং শাক আর টমেটোর টুকরা গুলি দিয়ে রান্না করতে হবে আরো প্রায় ২০ মিনিট।  সবশেষে ডাল হয়ে গেলে নামানোর আগে ঘি সামান্য গরম করে নিয়ে ডাল এর উপরে ছড়িয়ে দিয়ে দিন, সাথে দিন টালা শুকনা মরিচ। গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন পালং শাকের ডাল।

ডালের রেসিপি

মুগ ডাল :

মুগ ডাল হজম করা অনেকের জন্য কঠিন হয়। সেক্ষেত্রে আপনার হজম শক্তি বুঝে খাবেন। খেতে অনেকটাই ভাল।

উপকরন : মুগের ডাল, পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচা মরিচ, রসুন কুঁচি, আদা বাটা, হলুদ গুড়া, চামচ, লাল মরিচ গুড়া, লবন , পানি, তেল, ধনিয়া পাতা কুঁচি, চিনি ।

প্রনালী : মুগ ডাল গুলো প্রথমে ভেঁজে নিতে হবে। কড়া ভাঁজা যাবে না , মুগ ডাল ভাঁজার সময় একটা সুন্দর ঘ্রান বের হয়ে আসে, সেই ঘ্রান টা বের হলেই ভাঁজা বন্ধ করে দিতে হবে। তখন সামান্য লবন পানি দিতে পারেন। ভাজা শেষ হলে ডাল গুলো কে পানিতে ভাল মত ধুয়ে নিতে হবে এবং তারপর ডাল গুলো থেকে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে অল্প লবন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে ভাল করে ভেঁজে পেঁয়াজ গুলি কে বাদামী করে নিতে হবে। তারপর আদা বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষন ভেঁজে নিয়ে তাতে আধা কাপ পানি দিতে হবে। পানি দেয়ার পর ডালে ভাল মত মিশিয়ে তাতে হলুদ গুড়া এবং গুড়া মরিচ দিতে হবে। তখন পানি খুব কম মনে হলে আরো সামান্য পানি দেয়া যেতে পারে। তখন একটু ভাল করে জ্বাল দিয়ে দিলেই ডালের ঝোল হয়ে যাবে। এবার আধা চা চামচ চিনি দিতে পারেন, চিনি দিলে নাকি ডালের স্বাদ বেড়ে যায়। তারপর ভাল মত জ্বাল দিয়ে তেল উঠিয়ে নিতে হবে। এখন মুগ ডাল গুলো দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষন মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে। তারপর  তিন বা সাড়ে তিন কাপ পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে  ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মিনিট ২০ – ৩০ এর মত মাঝারি আঁচে চুলায় রেখে দিতে হবে। তখন মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে এবং ডাল সিদ্ধ হয়ে নরম হল কিনা তা দেখে নিতে হবে। তখন যদি ওই পানিতে ডাল নরম না হয় তবে তখন আরো পানি দেয়া যেতে পারে। ডালে মাখা মাখা ঝোল এলে শেষবার এর মত লবন দেখে নিতে হবে, লাগলে দিতে হবে।এবার ধনে পাতার কুঁচি এবং কয়েকটা আস্ত কাঁচা মরিচ  দিয়ে দিতে হবে এবং ডালে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। ব্যস মুগ ডাল পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

Mr. Shuva is a News and Content Writer at BongDunia. He has worked with various news agencies all over the world and currently, he is having an important role in our content writing team.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.