রংধনুর কথা আসলে আমরাদের ছোট বেলার কথা মনে পরে যায়। ছোট বেলায় বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু দেখে মজা করেনি, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। কিন্তু সেসময় এর সৃষ্টি রহস্য পুরাপুরি না জানলেও এখন কিছুটা জানি।

সূর্যের বিপরীত দিকে সাধারণত বৃষ্টির পর রংধনু দেখা যায়। ধনুকের মতো বাঁকা দেখতে হওয়ায় এটির নাম রংধনু। তবে রামধনুও বলা হয়।

রংধুনু কি ভাবে সৃষ্টি হয়?

বৃষ্টির কণা বা জলীয় বাষ্প-মিশ্রিত বাতাসের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো যাবার ফলে আলোর প্রতিসরণ হয় এবং এ কারনে বর্ণালীর সৃষ্টি হয়। এই বর্ণালীতে আলো সাতটি রঙে ভাগ হয়ে যায়। রঙ সাতটি হচ্ছে বেগুনী (violet), নীল (indigo), আসমানী (blue), সবুজ (green), হলুদ (yellow), কমলা (orange) ও লাল (red)। মনে রাখার সহজ উপায় বাংলাতে বাংলাতে এই রংগুলোকে তাদের আদ্যক্ষর নিয়ে সংক্ষেপে – বেনীআসহকলা আর ইংরেজিতে VIBGYOR।

 

সাতটি রঙের আলোর সাতটি ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এদের বেঁকে যাওয়ার পরিমাণেও তারতম্য দেখা যায়। যেমন লাল রঙের আলোকরশ্মি ৪২° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যদিকে বেগুনী রঙের আলোকরশ্মি ৪০° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যান্য রঙের আলোক রশ্মি ৪০° থেকে ৪২°’র মধ্যেকার বিভিন্ন কোণে বাঁকা হয়। এই কারণে রংধনুকে রঙগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সারিতে সবসময় দেখা যায়।

প্রাথমিক উজ্জ্বল রংধনুর একটু উপরে কম উজ্জ্বল আরেকটি গৌণ রংধনু দেখা যায়, যাতে রংগুলি বিপরীত পরিক্রমে থাকে। এই দুই ধনুর মধ্যবর্তী আকাশ (আলেক্সান্ডারের গাঢ় অঞ্চল) বাকি আকাশের থেকে একটু অন্ধকার হয়, তবে ভালো করে লক্ষ না করলে এই তারতম্য নজর এড়িয়ে যেতে পারে।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.