বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: গতকাল রাত্রে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সিবিআই এবং এডি নাটকীয় ভাবে তার নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে । সারাদেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে নানান ধরনের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে পি চিদাম্বরম কে এইভাবে গ্রেপ্তার করার জন্য । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য গত সোমবার দীঘায় গিয়েছিলেন । গতকাল বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ফেরার সময় হেলিপ্যাডে সাংবাদিকরা তার প্রতিক্রিয়া জিজ্ঞাস করলে তিনি অত্যন্ত ক্ষোভে ফেটে পড়েন ।হেলিপ্যাডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আইনের দিকটা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে চিদম্বরম একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক। দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। যে ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হল, তা খুবই হতাশাজনক। তা স্যাড অ্যান্ড ব্যাড”।
মুখ্যমন্ত্রী এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে তিনি আরো বলেন, “সবাইকেই মনে রাখতে হবে আমাদের দেশে চারটি স্তম্ভ রয়েছে। প্রথমটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, দ্বিতীয়টি নির্বাচন কমিশন, তৃতীয়টি মিডিয়া এবং চতুর্থটি বিচার ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলায় গণতন্ত্র আজ কাঁদছে। রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করে বলা যায়, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে”।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিরোধী মহলে তারা মুখ্যমন্ত্রী কে পাল্টা জবাব দিতে কসুর করেনি । বাংলার বিরোধী দলের মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেন, ”
মুখ্যমন্ত্রী কেন চিদম্বরমের বিরুদ্ধে মামলার মেরিট নিয়ে কথা বলছেন না তা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পাহাড় জমে রয়েছে। রোজ তাদের এক জন করে নেতা সিবিআই অফিসে প্যারেড করে যাচ্ছেন এবং ফিরে আসছেন। তাঁর কথায়, “ব্যাপারটা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে চোরকে চোর বলা যাবে না। তা হলেই বলবে গণতন্ত্র কাঁদছে। অদ্ভূত কাণ্ড বটে!”