সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ২৩ জন ক্রু নিয়ে দেশের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্দর থেকে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফেরার সময় ছিনতাইকৃত জাহাজটি ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর নিয়ে দেশের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজটির ব্যবস্থাপনা সংস্থা এসআর শিপিং আশা করছে জাহাজটি 12 বা 13 মে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে।
এর আগে শনিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাসের পর এমভি আবদুল্লাহ মিনা সাক্কার বন্দরে যান। সেখান থেকে লোড হচ্ছে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের চালান খালাস করা হবে।
ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘মিনা সাকার বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে ২৯ এপ্রিল রাতে আমরা দেশের উদ্দেশে রওনা হই। এই চুনাপাথর কুতুবদিয়ার কাছে গভীর সমুদ্র বন্দরে নোঙর করে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে, চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহরুল করিম বলেছিলেন, এমভি আবদুল্লাহ ফেরার পথে একটি বন্দর থেকে তেল ও খাবার সংগ্রহ করবেন। 12 বা 13 মে জাহাজটি দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাহাজটির কার্গো কুতুবদিয়ায় আনলোড করে চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকতে নোঙর করা হবে। তারপর নাবিকরা তাদের পরিবারের সাথে দেখা করবে বা বাড়ি যাবে।
4 মার্চ, এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরের জন্য 55,000 টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে রওনা হয়। 12 মার্চ, 23 বাংলাদেশী নাবিক বহনকারী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি হাইজ্যাক করা হয়।
৩২ দিন পর ১৪ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটিকে মুক্ত করে। এরপর এটি সোমালিয়া উপকূল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এক সপ্তাহব্যাপী সমুদ্রযাত্রার পর জাহাজটি ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে।