বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও রাজ্যবাসী শীতের অপেক্ষায়। গরম এবং বৃষ্টি কোনটাই যেন ছাড়তে চাইছেনা রাজ্যকে। এমত অবস্থায় কার্যত হতাশ রাজ্যবাসীকে আবহাওয়া দফতর জানালো যে, আগামী রবিবারের আগে রাজ্যবাসী হয়ত শীতের মুখ দেখতে পাবেনা।
বিশ্বউষ্ণায়ন এবং পরিবেশ দূষণের ফলে আবহাওয়া এবং ঋতুর এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তন সত্যিই যেন চিন্তার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। এবছর সেই পরিবর্তনের প্রভাব সত্যিই খুবই মারাত্মক রূপ ধারন করেছে সারা বিশ্বে। এই বছর সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী তাপপ্রবাহ হয়েছে। হয়েছে ভূমিকম্প এবং দাবানলে পুরেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অরণ্য আমাজন। এতো গেল বিদেশের কথা। আমাদের দেশেও কথাও হয়েছে খরা তো কথাও বন্যা। পশ্চিমবঙ্গে গত বছর ডিসেম্বরে শীত একদম জাঁকিয়ে বসলেও এবারে যেন তার দেখা নেই। মাঝে একদিন খুব ঠাণ্ডা পরাতে রাজ্যবাসী ভেবেছিল হয়ত এবারে ঠাণ্ডা পরে গেলো অবশেষে। কিন্তু তারপরই পারদ চড়তে শুরু করে এবং আবহাওয়া বাড়তে থাকে গরমের প্রভাব।
এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং শীতের দেরীতে আগমনের জন্য দায়ী হল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। কাশ্মীরে তৈরি হওয়া এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে উত্তরে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এই ঝঞ্ঝার ফলে যেমন ভারতের উত্তরাঞ্চলে হচ্ছে বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাত তেমনই রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ কমার বদলে আসতে আসতে চরছে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে বৃহস্পতিবার কোলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৮.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস যেটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রী বেশী।
তবে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বেশীদিন স্থায়ী হবেনা বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। আর এই ঝঞ্ঝা বিদায় নিলেই রাজ্যে আগামী রবিবার থেকে জাঁকিয়ে পড়বে শীত। তাই শীত প্রিয় বাঙালী বঞ্চিত হবেনা শীতের আমেজ থেকে এবং বাঙালী শীতের বিলাসিতা মানে গরম জামঅ্যা, লেপকম্বল, পিঠেপুলির স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবেনা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।