বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আধারের সাথে ভোটার কার্ড সংযুক্ত করিয়ে ভুয়ো ভোটার কার্ড চিহ্নিত করতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন । সেই হিসাবে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল আইন মন্ত্রকের কাছে । এবার আধার-ভোটার সংযুক্ত করার প্রস্তাবকে সমর্থন জানাল আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
জানা গেছে, আইন মন্ত্রকের কমিটি নির্বাচন কমিশনের পাঠানো প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে এই কারনে যে, আধার-ভোটার সংযুক্তিকরণ হলে এক দিকে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিতকরণ হবে, অপর দিকে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব হবে । আইন মন্ত্রকের দাবী, এই সংযুক্তিকরণের ফলে ভারতের গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে । পাশাপাশি, ভারতীয় ভোটারদের মধ্যে যাতে কোন প্রকার ধোঁয়াশা না থাকে, তার জন্য আইন মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকলেই তিনি ভোট দিতে পারবেন। তাঁর আধার কার্ড রয়েছে কি না বা থাকলে ভোটার কার্ডের সঙ্গে সেই আধারের সংযুক্তিকরণ হয়েছে কি না, তা ভোটের সময়ে বিবেচনা করা হবে না।
বেশ কয়েকদিন ধরেই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় সচ্ছতা আনার জন্য আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের দাবী জানিয়ে আসছিল । নির্বাচন কমিশনের মতে কর্মসূত্রে নিজের রাজ্যের বাইরে কাজ করতে যাওয়া বড় সংখ্যক মানুষ একাধিক ভোটার কার্ড তৈরি করে রাখেন । কিন্তু সেই ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিতকরণ করা সম্ভব হয় না । অবশেষে, নির্বাচন কমিশনের দাবীকে নৈতিক বলেই মনে করছে আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। শুক্রবার সংসদে জমা পড়া কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ”গণতন্ত্রের স্বার্থে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ প্রয়োজন। কেন্দ্রের উচিত এ নিয়ে পদক্ষেপ করা।”
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে আধারের সাথে প্যান নম্বর বা মোবাইল নম্বর যুক্ত করা নিয়ে একদিকে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল । সাধারন জনগণের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছিল বিভ্রান্তি । এবার বিভ্রান্তি এড়াবার জন্য আগে থেকেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, আধার-ভোটার সংযুক্তকরনের সঙ্গে ভোট দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকলেই তিনি ভোট দিতে পারবেন। তাঁর আধার কার্ড রয়েছে কি না বা সেটির সংযুক্তিকরণ হয়েছে না হয়নি, তা ভোটের সময়ে অপ্রাসঙ্গিক। কমিশনের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ”জনপ্রতিনিধিত্ব আইন প্রত্যেক ব্যক্তির ভোট দেওয়ার অধিকারকে সুনিশ্চিত করেছে। আধার কার্ডের থাকা না-থাকা তা কেড়ে নিতে পারে না।”