বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বান্ধবী বৈশাখীকে সাথে নিয়ে সটান দিদির বাড়ি ভাইফোঁটা নিতে পৌঁছে গেলেন সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় । গত বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর স্নেহের পাত্র শোভন তথা কানন ভাইফোঁটা নিতে আসেন নি । কিন্তু এবার ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দুজনের দূরত্ব কমে হয়ত বরফ গলতে পারে ।
মঙ্গলবার দুপুরে তখন দলনেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটা চলছে । আচমকা, দুপুর ২টো নাগাদ কাননের প্রবেশ সঙ্গে বৈশাখীকে নিয়ে । সূত্রের খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায় যে এদিন কালীঘাটে পৌঁছে যাবেন তা জানতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকেই। এই ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে তৃণমূল দল এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন । একদিকে দিদির স্নেহের পাত্র কাননকে বিজেপি থেকে নিজের কাছে আনতে পারলেন অপর দিকে বিরোধী দলের সভাপতি দিলিপ ঘোষকে কিছুটা ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিলেন ।
এই ভাইফোঁটা নিয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানাতে, শোভন-মমতা সাক্ষাত্কে ‘সৌজন্য’ আখ্যা দিয়ে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘ঠিকই আছে। ওদের পুরনো সম্পর্ক। ফোঁটা নিতেই পারে। কে কার কাছে ফোঁটা নেবে, তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে না।”
উল্লেখ্যে গতবছর নভেম্বরে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছেড়েছিলেন মেয়রের পদ। তারপর থেকে রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন দিদির কানন। লোকসভা ভোটের মাসখানেক আগে থেকে শোভনের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চলছিল জোর জল্পনা। অবশেষে চলতি বছর ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শোভন-বৈশাখী। এরপর রাজ্য দফতরে তাঁদের সংবর্ধনা জানানো নিয়ে শুরু হয় প্রথম বিতর্ক। এই কারনে, বিজেপির রাজ্যসভাপতি যা-ই বলুন না কেন, বছরখানেক পর দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক জোড়া লাগার আভাস পেয়েছে রাজনৈতিক মহল। রাজনীতির বিজ্ঞ মহল মনে করছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্ বিজেপির জন্য অশনিসংকেত।