বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ খুব দ্রুত রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে । প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় সংক্রমণ ধরা পড়ছে । কিন্তু সব থেকে কঠিন হয়ে যাচ্ছে, কিভাবে এবং কোথা থেকে এই সংক্রমণ হচ্ছে সেই হিস্ট্রি জানার ক্ষেত্রে – এমনটাই জানাচ্ছে প্রশাসন ।
রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার যেভাবে বেড়েই চলেছে তাতে চিন্তিত সবাই । এই সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিদিন নতুন করে নতুন জায়গা লক করে দিতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন । কিন্তু বাড়তে থাকা করোনা-সংক্রমণ চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ‘ট্রেসিং’ বা সংক্রমণ-ইতিহাস খোঁজার পদ্ধতিকে। কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ‘ট্রেসিং, ট্র্যাকিং এবং টেস্ট’-কেই হাতিয়ার করেছে প্রশাসন। কিন্তু এখন প্রতিদিন যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ট্রেসিং-প্রক্রিয়াই কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ বার ‘ট্রেসিং, ট্র্যাকিং এবং টেস্ট’-এর হার আরও বাড়াবে সরকার।কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে একপ্রকার স্বীকার করেই নেওয়া হয়েছে ট্র্যাকিং করতে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হলেও, কে কোথা থেকে কী ভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন, তা খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা । প্রশাসনিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই কারণে বৃহত্তর এলাকা ধরে ধরে নিয়ন্ত্রণবিধি কার্যকর করতে হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পেলেই সংশ্লিষ্ট এলাকা-বাড়ি-ব্যক্তির তথ্য গুগল আর্থ বা সমতুল কোনও ডিজিটাল মাধ্যমে ‘কেস’ ট্র্যাক করা হচ্ছে। প্রথা মেনে ওই ব্যক্তি কোথা থেকে এবং কী ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন, তা ট্রেসিং করার কথা। প্রশাসনের একাংশের মতে, এক-একটি এলাকায় প্রতিদিন একসঙ্গে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলে প্রত্যেকের সেই তথ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে অনেকেই আছেন, বিশেষ করে গ্রামের দিকে, করোনা আক্রান্ত হলেও সেই তথ্য গোপন করে যাচ্ছেন । এক জেলা-কর্তা জানাচ্ছেন, পরিযায়ীরা যত দিন ধরে এলাকায় ফিরেছেন, তত দিন বোঝা যাচ্ছিল সংক্রমণ এসেছে বাইরে থেকে। তার পরে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগের সংক্রমণ পরিযায়ীদের থেকেই হয়েছিল। কিন্তু এবার সংখ্যায় এত পরিমাণে সংক্রামিত হচ্ছে, তাতে কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে ট্রেস করা ।