বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কথায় বলে ‘ঠ্যালায় পড়লে বিড়াল গাছে চড়ে’ । এবার করোনার ভয়ে বাঙ্গালী এখন ‘গাছ পাঁঠা’ অর্থাৎ এঁচোড়ের দিকে আগ্রহী হয়ে পড়ছে । ফলে কাঁচা কাঁঠাল তথা এঁচোড়ের দাম এবার আকাশ পানে ধেয়ে চলেছে ক্রমশ ।
যারা মাংস খান না, এক সময় তাদের জন্য মাংসের বিকল্প হিসাবে এঁচোড় ব্যবহার হত । যার কারনে এখনও অনেকেই এঁচোড়কে ‘গাছপাঁঠা’ নামে ডাকে । এবার বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ হবার ভয় । বাজারে গুজবও ছড়াচ্ছে চিকেন বা মাটন থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে । যদিও সত্যি সংক্রমণ হবে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে, কিন্তু প্রানের ভয় তো আছে । আবার এদিকে রসনাকে তৃপ্ত করাও দরকার । ফলে বিকল্প হিসাবে উঠে আসছে এঁচোড়ের নাম ।
বর্তমানে পরিস্থিতি এমন একটা অবস্থায় আসতে চলেছে যে, একদিকে চিকেন ও মাটন, বিশেষ করে চিকেনের দাম হু হু করে কমে যাচ্ছে, অপর দিকে চাহিদা এবং দাম বাড়ছে সেই ‘গাছ পাঁঠা’ খ্যাত এঁচোড়ের ।অন্য দিকে শহর এবং শহরতলির হোটেল বা রেস্টুরেন্টে এখন চিকেন বা মাটন বিরিয়ানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে এঁচোড় দিয়ে বানানো হচ্ছে বিরিয়ানি । সামনে সাইন বোর্ড থাকছে ‘কাঁঠাল বিরিয়ানি।’
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের পল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন মাংস নিয়ে মানুষের মধ্যে ভয় কাটাতে গোরক্ষপুরে মাংস মেলা করেছিল। আয়োজক এবং পল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্ণধার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সেই মেলায় তাঁরা ৩০টাকায় মাংসের নানান পদের ব্যবস্থা রেখেছিলেন। সেখানে কয়েক হাজার কিলো মাংস উবে গিয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই দোকান থেকে মাংস কিনে লোকে খাচ্ছে না। এদিকে দোলের পরদিন থেকেই মাটনের চাহিদা অনেকাংশে কমে গেছে ।
এদিকে গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু করোনা সংক্রমণকে ‘বিশ্ব জুড়ে মহামারী’ ঘোষণা করেছে । অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আগামী কাল ১৩ই মার্চ থেকে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশ থেকে ভারতে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । এমত অবস্থায় বাজারে সবচেয়ে চওড়া হাসি ফুটতে চলেছে যে সমস্ত এঁচোড় ব্যবসায়ী আগে থেকেই কাঁঠালের বাগান কিনে রেখেছিলেন তাদের মুখে।