বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মায়ানমারের ভয়ংকর গণহত্যা থেকে জীবন বাচাতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। তারপর থেকেই কয়েক দফা চেষ্টা করা হলেও রোহিঙ্গাদের মায়ানমার ফিরিয়ে নেওয়ার তেমন উদ্যেগ নেয়নি। এদিকে ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের বিভিন্ন সময়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একই সাথে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরদের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি) রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রয় নিষিদ্ধ করে। রোহিঙ্গাদের মোবাইল সুবিধা বন্ধের জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিটিআরসির নিদের্শনায় আগামি সাত দিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকল প্রকার মোবাইল সুবিধা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে মোবাইল সিম কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার হয় একই সাথে নির্বাচন কমিশনের কাছে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ মেলার পরে সিম বিক্রি করতে পারে মোবাইল কোম্পানী। তাহলে প্রশ্ন রোহিঙ্গারা কি করে এই সিম পায়?
স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অভিযোগ এখানে বিভিন্ন এনজিও নানা রকম খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি মোবাইলের সিম কার্ড দিয়েছে। আবার রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জানা যায় তারা স্থানীয় বাজার থেকে কিনেছে। আরো জানা যায় বাংলাদেশের কোন ব্যক্তির এনআইডি আর আঙ্গুলের ছাপের কড়াকড়ি আরোপ করার পরে বাংলাদেশি একজনের পরিচয় পত্র দিয়ে সিমটি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেন। পরবর্তীতে কোন রোহিঙ্গা ঐ সিম থেকে কোন অসামাজিক কাজ করলে বাংলাদেশি ঐ ব্যক্তি ভুক্তভোগী হচ্ছেন।