বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বর্তমান বিশ্বে প্রায় সকলেই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে । কিন্তু এই স্মার্ট ফোনই শিশুদের উপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব । সম্প্রতি ভারতের চার্টার বিশ্ববিদ্যালয় তাদের একটি গবেষণায় দেখিয়েছে, স্মার্টফোনের অধিক ব্যবহারে শিশুর চোখের রেটিনা, কর্নিয়া এবং অন্যান্য অংশের ক্ষতি হবার সম্ভবনার কথা । এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সমস্যা । এবার সেই সমস্যার কথা ভেবে বিখ্যাত মোবাইল নির্মাতা অ্যাপেল নিতে চলেছে নয়া উদ্যোগ ।

শিশুদের মোবাইল ফোনে আসক্তি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে । একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়,  এখনকার শিশুরা মোবাইল ফোন বা ট্যাবের টাচ স্ক্রিনে ভিডিও গেমস খেলে কাটায় অনেকটা সময়। এমনকি,  প্রাপ্তবয়স্কদের থেকেও তারা অনেক বেশি প্রযুক্তি পারদর্শী। বাবা-মায়েরাও বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখার জন্য নিজের স্মার্টফোন তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে থাকেন। ফলে স্মার্টফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে শিশুরাও অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়ছে। ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ থাকছে না, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে । স্মার্ট ফোনের আসক্তি কমাতে এ অবস্থায় আইফোনের আসক্তি থেকে শিশুদের রক্ষা করতে আহ্বান জানাচ্ছেন আইফোন নির্মাতা অ্যাপলেরই দুই বিনিয়োগকারী।

জানা গেছে,  এখন বড়ো বিনিয়োগকারীরা অ্যাপলকে অনুরোধ জানাচ্ছেন, অ্যাপেল যেন এমন সফটওয়্যার তৈরি করে, যা শিশুরা কতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেবে । ইতিমধ্যে, অ্যাপেলের দুটি বড় বিনিয়োগ কোম্পানি ‘জানা পার্টনার্স’ এবং ‘ক্যালিফোর্নিয়া টিচার্স পেনশন ফান্ড’ , যারা অ্যাপলের দুই বিলিয়ন ডলারের শেয়ারের মালিক অ্যাপেলকে অনুরোধ জানিয়েছেন,  ‘ডিজিটাল লক’ চালু করার জন্য ।চিঠির মাধ্যমে করা অনুরোধ পত্রে তাঁরা জানিয়েছেন,  শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার যে প্রভাব ফেলছে, তা অ্যাপলকে বিবেচনা করতে হবে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন, অ্যাপল যদি এই ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের ব্যাপারে কিছু না করে, তাহলে তাদের সুনাম এবং স্টক মার্কেটে তাদের মূল্য উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ইতিমধ্যে একটি সমীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে,  যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ কিশোর কিশোরী স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে একধরনের তাড়না বোধ করে যে, মোবাইল ফোনে মেসেজ এলে সঙ্গে সঙ্গেই তার জবাব দিতে হবে। ইতি মধ্যে ‘ডিজিটাল লক” নিয়ে বেশ সাড়া পড়েছে । শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করা শিক্ষাবিদেরা একে স্বাগত জানিয়েছেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক সোনিয়া লিভিংস্টোন জানান, এই আহ্বান শুনে তিনি খুশি হয়েছেন।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.