ডেঙ্গু চলছেই চলবে। ডেঙ্গু রোগীর লাইন যেন শেষ হচ্ছে না। বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭৪ জন রোগী। ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন ২৫৭ জন ডেঙ্গু রাগী। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৪৫ জন নারী, ২০ জন পুরুষ ও ৯ জন শিশু।
গত ১৬ জুলাই থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২০ জন ডেঙ্গু রোগী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৬১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এছাড়া বরিশালের গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নারী ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়।
ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় তাদের চিকিৎসায় পৃথক একটি ওয়ার্ড চালু করার কথা জানিয়েছেন। ডেঙ্গুর চিকিৎসার পাশাপাশি ডেঙ্গুর জন্য সর্তকর্তা অবলম্বনে প্রশাসন সহ সকলেই রয়েছেন ব্যস্ত অবস্থায়।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলের মত বরিশাল বিভাগেও ডেঙ্গুর মারাত্মক অবস্থা। পূর্ববর্তী বছর গুলোতে দেখা যেত ডেঙ্গু মূলত রাজধানী ঢাকাতে আক্রমন বেশী করত। এবারে এডিস মশার আচরণ পরিবর্তন একই সাথে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ পরিবর্তন হওয়ায় সবাই ভীত রয়েছেন। ডেঙ্গু রোগী থেকে এ বিষয়টি এখন ভয়ের তৈরী হয়েছে। অনেকেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করাচ্ছেন শুধুমাত্র ভয় থেকে।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে কমে এসেছে। খুব শিগগিরই সব নির্মুল হয়ে যাবে। তিনি একই সাথে জানান পরীক্ষায় এখন আর কিটের কোনো সংকট নেই। ইতিমধ্যে প্রায় চার লাখ কিট দেশে আনা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় কিট পৌছে দেওয়া হয়েছে। ঈদের সময় ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এজন্য প্রত্যেক জেলা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শ দিয়েছেন।