সেঞ্চুরি মিস করেন মারনাস লাবুসচেন। (এএফপি ছবি)
ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের অবস্থা খারাপ হয়েছে। নিউজিল্যান্ড দলের ব্যাটসম্যানরাও বড় রান করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া দল নিউজিল্যান্ডের স্কোরে এগিয়ে গেলেও যদি দেখা যায়, তার স্কোরও খুব একটা বড় নয়। প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড দল। অস্ট্রেলিয়া একরকম 256 রান করে। মার্নাস লাবুসচেন স্কোরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কিন্তু সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর হতাশ হয়ে পড়েন লাবুসচেন। নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত ফিল্ডার গ্লেন ফিলিপস একটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে লাবুশ্যানের সেঞ্চুরির আশা নষ্ট করে দেন।
প্রথম ইনিংসের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া ৯৪ রানের লিড নিয়েছে। কিন্তু লাবুসচেন বেঁচে থাকলে এই লিড আরও ভালো হতে পারত। ফিলিপসের এই ক্যাচটি নিউজিল্যান্ড দলের জন্য খুব দরকারী বলে প্রমাণিত হয়েছিল এবং এটি খুব বেশি লিড পায়নি।
সুপারম্যান হয়ে ওঠে
ফিলিপসের এই ক্যাচ দেখে যে কারো মনে পড়ে যেতে পারে সুপারম্যানের কথা। সুপারম্যানের মতো বাতাসে বল ধরলেন ফিলিপস। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৬১তম ওভার বল করছিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি। এটি সৌদির 100তম টেস্ট ম্যাচ। অফ স্টাম্পের উপর দিয়ে বল ছুড়ে দেন সৌদি। লাবুশ্যাগনে এটিকে লেন থেকে নামানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ফিলিপস তার ডানদিকে ডাইভ করে একটি দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। বাতাসে থাকতে থাকতেই ক্যাচ নেন তিনি। তার ক্যাচ দেখে চমকে গেলেন ল্যাবুসচেন। সে তার সেঞ্চুরি আশা করছিল কিন্তু সে মিস করেছে। তিনি 90 রানের একটি ইনিংস খেলেন যাতে তিনি 147 বল মোকাবেলা করেন এবং 12টি চার মারেন।
বাকি ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ
লাবুসচেন ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর কোনো ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। স্টিভ স্মিথ ওপেনার হিসেবে আবারও ব্যর্থ। মাত্র ১১ রান করেন তিনি। লাবুসচেনের পর দলের সেরা স্কোরার যদি কেউ হয়ে থাকেন, তিনি হবেন মিচেল স্টার্ক। স্টার্ক করেন ২৮ রান। ২৫ রানের ইনিংস খেলেন ক্যামেরন গ্রিন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সাত উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। সৌদি, বেন সিয়ার্স ও ফিলিপস একটি করে উইকেট নেন।