বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দক্ষিন চীন সাগর নিয়ে একের পর এক দেশ চীনের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে । এরই মধ্যে চীন-আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও এক ধাপ বেড়ে গেল । চীনকে হুঁশিয়ারি দিতে আমেরিকা পরমাণু বোমা বহনকারী বিমান মোতায়েন করল দক্ষিন চীন সাগরে মার্কিন নৌঘাঁটিতে ।
আমেরিকার সাথে চীনের সম্পর্ক খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে । বিশেষ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্র্যাম্প ক্ষমতায় আসার পর চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন । এদিকে চীনও আমেরিকার দাদাগিরিকে কোনভাবে আমল দিতে নারাজ । করোনা পরিস্থিতির জন্য আমেরিকা চীনকে প্রথম থেকেই দোষারোপ করে আসছে । এবার দক্ষিন চীন চীন সাগরে চীনের প্রভাব প্রতিপত্তি ক্ষুন্ন করার জন্য আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমেছে ।
এই মুহূর্তে, দক্ষিণ চিন সাগরে চিন-আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা ও বিরোধ দিন দিন বাড়ছে। চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনামসহ আরও কয়েকটি দেশকে নিজের দিকে আনতে পেরেছে । এদিকে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমেরিকা তাঁর নৌঘাঁটি ডিয়াগো গার্সিয়াতে পারমাণবিক বোমা ফেলতে সক্ষম বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। এই মার্কিনি পদক্ষেপে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড-এর তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, তিনটি বি-২ স্পিরিট স্টিলথ বোম্বার বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এটি যে কোনও চিনা পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানাতে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ২৯ ঘন্টা উড়ে এসে ওই বিমান হাজির হয়েছে নৌঘাঁটিতে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালের পর প্রথম এমন বোমারু বিমান পাঠিয়েছে আমেরিকা। মনে করা হচ্ছে, তাইওয়ানে চিনের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
আমেরিকার অত্যাধুনিক এই বোমারু বিমান বি -২ উন্নত স্টিলথ প্রযুক্তি সম্পন্ন । এই যুদ্ধবিমান শত্রু বাহিনীর র্যাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।এদিকে আমেরিকার পাশাপাশি চীনও চুপ করে বসে নেই । চিনা পিএলএ এবং নৌবাহিনী তাইওয়ানের থেকে প্রায় ৩৪০ মাইল দূরে একটি দ্বীপপুঞ্জে লাইভ-ফায়ার ড্রিল শুরু করছে। কোনভাবেই দক্ষিন চীন সাগরের দখল হাত ছাড়া করতে নারাজ চীন প্রশাসন ।