বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ করোনার মধ্যে বাজারে আলু কিনতে গেলেই হাতে ছ্যাকা খাচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী । অথচ আলু ছাড়া বাঙ্গালীর হেঁসেল একেবারেই বেমানান । এবার আলুর দাম আগামী সপ্তাহ থেকে কমে যাবার আশা প্রকাশ করলেন ব্যবসায়ীরা ।
হেঁসেলে আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কার মত সবজি না থাকলে কেমন যেন সব খালি খালি লাগে । অথচ সেই আলুর দাম এবার লাগাম ছাড়া । এদিকে করোনা আবহে রাজ্য জুড়ে ফের শুরু কড়া লকডাউন । অতি বৃষ্টির কারনে আলু ছাড়াও লঙ্কা, টম্যাটো, বেগুন বা অন্যান্য প্রায় সব সবজীর দাম বেশ চড়া । খোলা বাজারে জ্যোতি আলু ৩০ শের উপরে, চন্দ্রমুখী ৩৫-৪০ টাকায় । কাঁচা লঙ্কা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি প্রতি । এরই মধ্যে শোনা গেল আগামী সপ্তাহ থেকে আলুর দাম নিয়ন্ত্রনের কথা ।
আলুর চড়া দাম নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সাধারন মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করেছে । রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং খোলা বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন । কিন্তু তা স্বত্বেও আলুর দাম এখনও নিয়ন্ত্রনের বাইরে । তবে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য কমিটির সদস্য সুকুমার সামন্ত বলেন, ’মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আগামী সপ্তাহ থেকে আলুর দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এর দাম কমাতে পারে একমাত্র হিমঘর।’
আলুর দাম বৃদ্ধির পিছনে করোনা পরিস্থিতি এবং হিমঘরে আলু মজুত করে রাখাকে দায়ী করা হচ্ছে । করোনার কারনে অনেকেই প্রয়োজনের বেশি পরিমাণে আলু কিনেছেন । এছাড়া ত্রানমূলক কাজেও প্রচুর পরিমাণে আলু ব্যবহার করা হয়েছে । অন্য রাজ্যেও আলু রপ্তানি করা হয়েছে । ফলে তৈরি হয়েছে চাহিদা । এদিকে কিছু মজুতদার হিম ঘরে অধিক মুনাফা করার জন্য আলুর যোগান বন্ধ করে বাজারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করেছে । যার কারনে আলুর দাম এত চড়া ।
সিঙ্গুরের রতনপুরে পাইকারী আলুর আড়ত। সেখানকার আড়তদারদের বক্তব্য, হিমঘর থেকে ৫০ কিলোর বস্তা প্রতি যদি ৮০০ টাকা করে আলু দেওয়া যায়, তবেই এই মুহূর্তে খোলা বাজারে ২৫ টাকা করে আলু বিক্রি করা সম্ভব। এখন হিমঘর থেকে বেরোনো ৫০ কিলো আলুর বস্তার দাম পড়ছে ১১০০ টাকা।