বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল ও নীলরতন সরকার হাসপাতালে খোঁজ মিলল দালাল চক্রের। এই দুই হাসপাতালে দূর দূরান্তর থেকে গরীব মানুষেরা আসেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু রুগী ভর্তি থেকে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই দালাল দের টাকা না খাওয়ালে চিকিৎসা মেলেনা। এমন সব তথ্য উঠে এল প্রকাশ্যে।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের সামনে পাঁচিলের গা ঘেঁসে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান দেখা যায়। যেখানে খুকুমণি নামে একজন দোকানির দোকান থেকেই এই দালালের কাজ চলত। একটি সূত্রে খবর এই দোকানেই নাগরী নামের এক মহিলা বাইরে থেকে লোকজন এনে এই দালালের কাজ চালাতেন। এদিন তাঁকে না পাওয়া গেলেও খুকুমণি নামের মহিলাকে সরাসরি এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান যে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

কিন্তু যে রুগীর পরিবারের সাথে এই কান্ড ঘটেছে তারা প্রকাশ্যে এসে ওই মহিলাকে চিহ্নিত করায় বিপাকে পড়েন খুকুমণি। এরপর সুযোগ বুঝে চম্পট দেন তিনি। এখনও অব্দি নিরুদ্দেশ। অন্যদিকে হাঁসপাতাল চত্বরে থাকা একাধিক রুগীর পরিবার জানান যে দালাল দের পাল্লায় পড়ে প্রচুর টাকা নষ্ট হয়েছে তাদের।

তারা আরও জানান যে, রুগী ভর্তি করতে, হাসপাতালের সিট পেতে, আয়ার জন্য, ড্রেসিং এর জন্য ৫০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে দালাল রা। এমনকি দালালদের সাথে যোগাযোগ রাখলে হাসপাতালে আইসিইউ তেও রুগী দেখানোর বা রাখার সুযোগ করে দেয় তারা। কিন্তু কিছু রুগীর পরিবার বলে যে, তারা গরীব মানুষ এত টাকা দেবার ক্ষমতা নেই’। তখন দালাল রা বলে যে গরীব মানুষরাই আসে এখানে সব।

এভাবেই দিনের পর দিন দালালরা রুগীর পরিবারদের বোকা বানিয়ে টাকা আদায় করে যাচ্ছে। শুধু মেডিক্যাল কলেজেই নয়, নীলরতন সরকার হাসপাতালেও একই হাল। তবে এর আগেও এই অভিযোগ একাধিকবার এসেছে, কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ফের দালালদের উপদ্রব দেখা যায়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফেরার খুকুমণিকে পুলিশ খুজছে।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা আরও সতর্ক থাকবেন।

Payel Kumar is a News Writer at BongDunia. She has a little knowledge about journalism. She has worked with various news agencies in the previous years. She has done her graduation from West Bengal State University.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.