বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: গত মঙ্গলবার সকাল ৮ টা ৫০ মিনিটে প্রথম ডিঅরবিটিং হল বিক্রম ল্যান্ডার। গতকাল আলাদা হয় অরবিটার থেকে ল্যান্ডার। এর পূর্বের কক্ষপথ থেকে আরো ১৫ কিলোমিটার এগিয়ে গেল চাদের দিকে। এভাবে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর চাদে অবতরণ করবে বিক্রম ল্যান্ডার।

এখন চাঁদ থেকে ল্যান্ডারে সর্বন্মি দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ ১২৮ কিলোমিটার। অরবিটারের ভিতর আটটি যন্ত্র বসানো রয়েছে, সেগুলি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ল্যান্ডারকে চাদেঁর মাটিতে নামানোর দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারতের চন্দ্রযান-২।

মাহাকাশ গবেষণায় ভারতের চন্দ্রযান-২ একটি নবতর উদাহরণ, দুটি মহাকাশ যানকে একই কক্ষপথে রাখা হয়েছিল। এর আগে সব ক্ষেত্রেই অরবিটার থেকে ল্যান্ডার আলাদা করা হতো। ভারতীয় চন্দ্রযান-২ যার ডাক নাম বিক্রম ল্যান্ডারকে নিয়ন্ত্রণ করে দিয়েছে। ল্যান্ডারটিকে এমন ভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছে যাতে সে নিজেই ঠিক করতে পারে চাদেঁর কোন জায়গায় অবতরণ করা উচিত। শেষ ধাপে চন্দ্রে অবতরণ করতে ল্যান্ডাররের সময় লাগবে ১৫ মিনিট। ল্যান্ডারটি খতিয়ে দেখবে ভূমি সমতল কিনা যাতে তার চারটি পা একসঙ্গে ভূমি স্পর্শ করতে পারে। শেষ অবতরনের আগে কোন রকেট চালু থাকবে না।

উল্লেখ্য গত ১১ এপ্রিল ইসরাইলের চন্দ্রযান রেরিশিষ্ট চাদেঁর ১৫০ কিলোমিটার ওপর থেকে পড়ে যায়। দেশের অন্যতম জ্যোতিবিজ্ঞানী অধ্যাপক সন্দীপ চক্রবর্ত্তী বলেন, “যদি বিক্রম ল্যান্ডারের স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি কোনও ভাবে কাজ না করে, সেক্ষেত্রে যদি ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করে তবে চন্দ্র পৃষ্ঠে ১৮-২০ মিটারে একটি গর্ত তৈরি হতে পারে। যে গর্ত পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা যাবে না। সেক্ষেত্রে হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা যেতে পারে।“

Mr. Shuva is a News and Content Writer at BongDunia. He has worked with various news agencies all over the world and currently, he is having an important role in our content writing team.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.