বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মমতার কন্যাশ্রী প্রকল্প রাজ্যের গণ্ডী ছাড়িয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে পাড়ি দিয়েছে ।প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও । আরও নতুন সুবিধা যুক্ত হতে চলেছে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা মেয়েদের জন্য ।
বাংলার মমতা কন্যাশ্রি প্রকল্পকে এখন আরো বেশি প্রসারিত করেছে । সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, আর্থিকভাবে মেয়েদের আরও বেশী করে স্বচ্ছল করে তুলবার জন্য এখন কন্যাশ্রীর মেয়েদের বাংলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফলে মেয়েরা ভবিষ্যতে নিজেরাই আয়ের উৎস খুঁজে নিতে পারবে । ২০১৬ সালে কারিগরী দপ্তরের উদ্যোগে এই প্রকল্পটি চালু হয় । রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে । যেসব মেয়েরা সেখানে থেকে পড়ার সুযোগ পাননি তাদের জন্য এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন জেলার বিভিন্ন স্তরে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। খুব শীঘ্রই বিষয়টি পূর্ণরূপ পেতে চলেছে । এই মুহূর্তে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকা মেয়েদের অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয় । এছাড়া ১৮বছর উত্তীর্ণ হলে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় । কিন্তু এবার এই প্রকল্পের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীরা আসতে চলেছে । এছাড়া, প্রশিক্ষণ চলাকালীন ছাত্রীদের যাতায়াত ও টিফিন খরচ দেওয়া হবে ।তবে তার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছাত্রীদের প্রতিদিন উপস্থিত থাকতে হবে।
এই প্রশিক্ষণের বিষয়টি দেখাশোনা করেন কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের অধীন পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট। বিভিন্ন বেসরকারী বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। এখান থেকে বাংলার মেয়েরা টেলিকম, টেলারিং, বিউটিশিয়ান, কম্পিউটার, হস্তচালিত অলংকার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারবে । এই প্রশিক্ষনের ফলে নিজেদের পায়ে মেয়েদের দাঁড়াতে অনেক সাহায্য হবে বলে সরকার ধারনা করছে । এই প্রকল্পে ৮০ ঘণ্টা থেকে ৬০০ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এখন কন্যাশ্রী ক্লাব গুলিও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিবছর প্রায় ৬ লক্ষ যুবক-যুবতীকে এই প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্য সরকার । প্রশাসনিক মহলের কিছু জনের মতে এই প্রকল্পে কন্যাশ্রীর মেয়েরা যুক্ত হলে একদিকে লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত পূরণ করা সম্ভব হবে। অনেকে আবার কন্যাশ্রীর এই নতুন প্রকল্পে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন । কিন্তু রাজনীতি থাকুক আর নাই বা থাকুক, আগামী দিনে লাখ লাখ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে বাংলার এই প্রশিক্ষন প্রাপ্ত মেয়েরা সে কথা বলা যায় ।