বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আগেই খবর ছিল পাকিস্তান থেকে যে কোন সময় জঙ্গি হানা হতে পারে । পাকিস্তান যে ভারতে গোপনে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাতে পারে সেই খবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে ছিল । যার কারনে সীমান্ত এলাকায় নজর দারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল অনেক গুন । কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করার পর পাকিস্তান বিশ্ব দরবারে বহুভাবে চেষ্টা চালিয়েছে ভারতকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য । তাদের সেই প্রচেষ্টা বিফলে গেছে । যার কারনে কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের ওপারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বালাকোট ঘাঁটি । ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে প্রায় ৫০০ জইশ জঙ্গি । এ দিকে কাশ্মীরের গান্দেরওয়ালে টানা ১৯ দিন ধরে চলছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই । টানা ১৯ দিনের গুলির লড়াইয়ের মধ্যে উতপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে অনন্তনাগে ।ভারতীয় সেনাবাহিনী বুধবার সকাল থেকেই অনন্তনাগে শুরু করেছে এনকাউন্টার । সেনাবাহিনী সুত্র থেকে দুপুর অবধি তিন লস্কর জঙ্গির খতম হওয়ার খবর মিলেছে।
অনন্তনাগের পাজালপোরায় লস্কর ঘাঁটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে এমন খবর আগেই দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল টিম । জঙ্গিরা ভারতীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে । চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনীও । দু’পক্ষের গোলাগুলিতে খতম হয় তিন জঙ্গি। সেনা সূত্র জানাচ্ছে, তিনজনেই লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য । নিহতদের কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে । তিন জঙ্গি খতম হলেও গুলির লড়াই এখনও চলছে ।
এনআইএ সম্প্রতি জানিয়েছে, লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনকে ছোট ছোট মডিউলে ভাগ হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালাতে নির্দেশ দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই । উপত্যকাতেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে লস্কর ও হিজবুল গোষ্ঠী । গান্দেরওয়ালের ট্রুমখাল জঙ্গলে জঙ্গিদের গতিবিধি টের পেয়েই গত ২৭ সেপ্টেম্বর যৌথ অভিযান চালায় সেনা ও রাজ্য পুলিশের বিশেষ দল। তার পর থেকেই দফায় দফায় গুলির লড়াই চলছে গান্দেরওয়ালে ।
বালাকোটে জইশ গোষ্ঠীর তৎপরতা নিয়েও সম্প্রতি রিপোর্ট দিয়েছে এনআইএ। তাদের মতে ভারতের এয়ার হামলার পরে সেই বালাকোটর জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে ফের গড়ে তুলতে নেমেছে জইশ-ই-মহম্মদ । সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, এসবের পুরোটাই চলছে জ্ঞাত সারে । জানা গেছে, সীমান্তে ক্যাম্প করে অন্তত ৫০০ জঙ্গি যে কোন সময় ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি ।