বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। ‘দম মারো দম’, ‘উরুমি’, ‘সালাম-এ-ইস্ক’, ‘হল্লা বোল’, ‘ববি যাসুস’, ‘কিসমত কানেকশন’, ‘তুমহারি সুল্লু’, ‘কাহানি’ ইত্যাদি বহু জনপ্রিয় ছবি এবং একাধিক দক্ষিণ ভারতীয় ছবি’তেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাঁকে। সম্প্রতি তাঁর অভিনীত ‘মিশন মঙ্গল’ ছবিটি বক্স অফিসে ব্যপক পরিমাণে সাড়া ফেলেছে। এর পরেই একটি সাক্ষাৎকারে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিদ্যা।
এর আগেও একটি সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বলেছিলেন, অল্প বয়স থেকেই তাঁর শারীরিক স্থুলতা এবং সাদা-সিধা পোশাক পড়ার কারণে বহু লোকের কাছে কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে। একারণে খুবই দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। এই একই কারণ যে তাঁর কেরিয়ারেও প্রভাব ফেলেছিল, এই দিনের সাক্ষাৎকারে সেকথাই বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “একবার একজন লিখেছিল, বিদ্যা যা সব ড্রেস পরে তাতে কোনও ব্যবসা তো দূর, ঘরে বসে থাকা উচিত।… এই কথাটা আমাকে অনেকদিন তাড়িয়ে বেরিয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর রাগ হতো। এখন এই কথাগুলো আমাকে ছোঁয় না।”
বিদ্যা জানালেন, তামিলের প্রায় ১২টি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেগুলি সবই মৌখিক ভাবে, লিখিত কোনও চুক্তি ছিলনা। একারণে অনেক ছবিতেই পরবর্তীতে বিদ্যা’কে সরিয়ে অন্য নায়িকা নেওয়া হয়েছিলো। এরপর মেয়েকে দুঃখ করতে দেখে বিদ্যা’র বাবা-মা প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এপ্রসঙ্গে বিদ্যা বললেন, “আমার বাবা-মা চেন্নাই এসে প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই প্রযোজক কয়েকটি ক্লিপ দেখিয়ে বলেছিল, ওকে কি কোনও দিক থেকে নায়িকা মনে হয়?” মা’র কাছে একথা শোনার পর আয়নায় নিজের মুখ দেখতে পারছিলেন না বিদ্যা, নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত মেয়ে মনে হয়েছিলো তাঁর।
এদিনের সাক্ষাৎকারে আরও একটি বিস্ময়কর ঘটনার কথা জানান বিদ্যা বালান, যা তাঁর সামনে সমাজের সবচেয়ে কুৎসিত রূপটি তুলে ধরেছিল। তিনি জানান, “আমার একটা দিন মনে পড়ছে চেন্নাইয়ে, এক পরিচালক আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি বলেছিলাম চলুন কফি শপে বসে কথা বলি, কিন্তু তিনি ক্রমাগত আমাকে বলছিলেন হোটেল রুমে যেতে। আমি উঠে আমার ঘরের দরজাটা খুলে দিয়েছিলাম, তার পরই পাঁচ মিনিটে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে।”