বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন জায়গায় এবার ৩৬টি হাটে কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। কোরবানির সময় যত কাছে আসছে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা তত বাড়ছে। এসব হাটগুলোতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্রত্যেকটি হাটে জাল টাকা সনাক্তে মেশিন স্থাপনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি হলেও কোরবানির আগের হাটগুলোতে পছন্দের পশু ক্রয় করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
জেলার হাটগুলোর মধ্যে, বাগেরহাট শহরের ভদ্রপাড়া খেয়াঘাট, সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাট, বাবুরহাট, সিএন্ডবি বাজার হাট, ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা হাট, কচুয়ার বাধাল, দেপাড়া, হাজরাখালি হাট, মোরেলগঞ্জের কালিকাবাড়ি হাট উল্লেখযোগ্য।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা হাটটি জমে উঠেছে। অন্য হাটের তুলনায় ক্রয়-বিক্রয়ে খাজনা কম হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতারা ঝুকছেন এ হাটে।
ক্রেতা টুকু মিয়া বলেন, খুলনা থেকে এসে প্রতিবছর এ হাট থেকে কোরবানির গরু ক্রয় করি। এখান থেকে মাত্র একশ থেকে দেড়শ খাজনা দিয়ে গরু ক্রয় করা যায়। কোন প্রকার চাঁদা বা ঝামেলা এ হাটে নেই। তাই প্রতিবছর এ হাটে আসি।
কুষ্টিয়া থেকে আগত গরু বিক্রেতা হালিম শেখ বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে এ হাটে গরু বিক্রি করি। নির্ধারিত খাজনা ছাড়া অন্যকোন পয়সা এ হাটের কেউকে দিতে হয় না। অন্য হাটের থেকে গরু প্রতি খাজনাও অনেক কম, তাই প্রতিবছর এ হাটেই গরু বিক্রি করি।
হাটের ইজারাদার আনন্দ দাস বলেণ, সারা বছর সপ্তাহে শুক্রবার ও সোমবার দুই দিন আমাদের হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়। কোরবানি উপলক্ষে সোমবারের হাটে প্রায় দুই হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। শুক্রবারের হাটে আশা করি আরও বেশি গরু বিক্রি হবে। ক্রেতা বিক্রেতাদের একটু বেশি সুযোগ সুবিধা ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের ফলে এখানে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে গরু বিক্রি করতে আসে মানুষ।বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলার ৩৬টি হাটে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক হাটে জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যারা পরিমানে বেশি টাকার লেন দেন করবেন তারা চাইলে পুলিশি সহায়তা দেওয়া হবে।