গত ৫ আগস্ট রাজবাড়ীতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে এক যুবকের হাত কেটে নিয়েছে স্থানীয় মাদক কারবারীরা। এই ঘটনার বিচার চেয়ে ছেলের কাটা হাত নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন বাবা। যতদিন আসামিদের ধরা না হবে, ততদিন তিনি কাটা হাত তার কাছে রাখবেন। বিচারের জন্য তিনি স্থানীয় পুলিশের কাছেও গিয়েছেন।
গত ৪ আগস্ট রোববার রাজবাড়ীতে কেটে নেওয়া হয় ২৫ বছর বয়সী যুবক শাহিন খানের দুই হাত। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সবশেষে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট বা পঙ্গু হাসপাতালে।
শাহিন খান রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের হাসেম খানের ছেলে। শোকাতুর হাসেম তার ছেলের দুই হাত পলিথিনের ব্যাগে করে সোমবার সকালে যান রাজবাড়ী সদর থানা এবং পরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে সান্তনা দিয়ে আশ্বাস দেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার।
হাসেম খান তারা ছেলেরে যারা পঙ্গু করে দিছে তাদের বিচার চান। যতদিন বিচার না হবে, ততদিন তিনি ছেলের হাত কাছে রাখবেন। শাহিনের বাবার অভিযোগ, এলাকার এলাকায় মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের কর্মকাণ্ডে বাধা হয়েছিলেন তার ছেলে। অবৈধ কাজ করতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয় তারা।
প্রধান অভিযুক্ত ইসমাইল ও শাহীনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলা ছিল আগে থেকেই।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশে চাকরি করেছি, আমরা অনেক নৃশংস ঘটনা দেখেছি। কিন্তু এই ধরনের অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি। বিষয়টি আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কল্যাণপুর গ্রামের শাহিন বারীকে সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই মামলার এজাহারভুক্ত তৃতীয় আসামি। তার দেখানো মতে শাহিনের হাত কাটায় ব্যবহত তিনটি চাপাতিও উদ্ধার হয়েছে।ণ