মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম (৫০) পুলিশের হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে কুমার নদে ঝাঁপ দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আজ বুধবার ৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুমার নদ থেকে মো. আমিরুল ইসলামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ৬ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শ্রীকোল বাজার সংলগ্ন কুমার নদের ঘাটে পুলিশের হাতে গ্রেফতার এড়াতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন আমিরুল।
নিহতের ছোট ভাই মো: কামরুল ইসলামের মতে, দলাদলির সূত্র ধরে তার বড় ভাই আমিরুল ইসলামকে প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মাগুরা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল হাটশ্রীখোল বাজারে গিয়ে আমিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে মাদক উদ্ধারের অভিযানের কথা বলে শরীর তল্লাশি করে। কিন্তু কোনো মাদক না পেয়ে পুলিশ আমিরুলকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে গ্রেফতার করলে আমিরুল ভয়ে দৌড়ে পালাতে যান। এ সময় বাজারের পার্শ্ববর্তী কুমার নদীতে পড়ে যান তিনি। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এছাড়া জানা যায় কিছুদিন কিছুদিন আগে হাটশ্রীকোল গ্রামে দু’দল গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে আসা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি গণ মামলা করে। এই মামলার অন্যতম আসামি ছিল আমিরুল ইসলাম। তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছিল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগুরা ডিবি পুলিশের এসআই ওলিয়ার রাহমানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে শ্রীকোল বাজারে গ্রেফতার করতে যায়। গ্রেফতার এড়াতে এ সময় আমিরুল ইসলাম দৌড়ে কুমার নদে ঝাঁপ দেন। তারপর তাকে আর দেখা না যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
ডিবি পুলিশ শ্রীকোল বাজারে মাদক উদ্ধারে গেলে কিছু লোক ছোটাছুটি করতে থাকে। তখন আমিরুল ইসলাম হয়তো ভেবেছিলেন ওই সংঘর্ষের মামলায় তাকে ধরতে এসেছে পুলিশ। এটা ভেবেই তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে থাকতে পারেন। তাকে উদ্ধারে পুলিশ, দমকল বাহিনী ও স্থানীয়রা অভিযান চালায়। বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুমার নদ থেকে মো. আমিরুল ইসলামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।