ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৯ জন  চিকিৎসক মারা গেছেন। সর্বশেষ কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলকার ডা. মো. রাশেদুজ্জামান রিন্টু মারা যান। তিনি কুষ্টিয়ার আদ-দ্বীন হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বাস করতেন। রিন্টু ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৩৩তম ব্যাচের ছাত্র।

হাজারো রোগীর জীবন বাঁচাতে পারলেও অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মঅবহেলার শিকার হয়ে মারা গেলেন তিন। তিনদিন ধরে জ্বর, বমি, পায়খানার সাথে রক্ত ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রিন্টু ছিলেন কুষ্টিয়ার চৌধুরী নুরুল নাহার হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার। ৩ আগস্ট শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার সদর হাসপাতালে মারা যান।

ঢাকার মত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দিনদিন বেড়েই চলছে। সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে মশারি সরবরাহ করা হলেও ঠেকান যাচ্ছে না ডেঙ্গুকে। ডেঙ্গু যেন প্লেগের মত মহামারী আকার ধারণ করছে।

প্রতিবছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস ডেঙ্গু রোগের মৌসুম বলা হলেও, এ বছর আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। একই সাথে ডেঙ্গুর পূর্ব চরিত্রের পরিবর্তনের ফলে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক।

ডেঙ্গু বা ‘শয়তানের শক্তির কাছে আটকে যাওয়ার মতো ব্যথা’ । ডেঙ্গু একটি প্রাচীন রোগ। এই রোগের প্রথম উল্লেখ পাওয়া গেছে চীনের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্রে। সেখান থেকে জানা যায়, চীনে এই রোগটি ৯৯২ খৃষ্টাব্দে শনাক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত হয় ২০০০ সালে। প্রথমে অবশ্য এই জ্বরটি ঢাকায় একসঙ্গে অনেকের হয়েছিল বলে এর নাম হয়ে যায় ‘ঢাকা ফিভার’।

ইতিহাস যাই বলুক না এই মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা।

Mr. Shuva is a News and Content Writer at BongDunia. He has worked with various news agencies all over the world and currently, he is having an important role in our content writing team.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.