বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এতদিন চীন দাদাগিরি দেখিয়ে এসেছে । লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক জয়ের পরেই এবার উল্টে চীনকে চাপে ফেলতে চলেছে ভারত । দক্ষিন চীন সাগরে ইতিমধ্যে মার্কিন রনতরী মহড়া দিচ্ছে, এবার ভারতের নৌবাহিনীর মহড়া শুরু হবে দক্ষিন চীন সাগরে । চিনকে চাপে রাখতে নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
গোটা বিশ্বজুড়ে অতিমারি করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সুত্রপাত চীন থেকেই । অনেক দেশই মনে করছে ইচ্ছা করলে চীন গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে পারত । এছাড়া তথ্য গোপন করার মত অভিযোগও রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে । এদিকে সীমান্ত নিয়ে বিবিধ সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ভুরি ভুরি । আমেরিকা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে চীনকে ঠেকানোর জন্য যে কোন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তারা । এবার ভারতের পক্ষ থেকে দক্ষিন চীন সাগরে চীনের দখলদারি খর্ব করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর মহড়া শুরু হবে সেখানে । ভারতের এই প্রস্তাবে সহমত ফিলিপিনস।
দক্ষিন চীন সাগর প্রসঙ্গে ফিলিপিনস ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে । ফিলিপিনসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের নৌবাহিনীর মহড়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। ফিলিপিনসও ভারতের সঙ্গে এই মহড়ার অংশ হতে চায় বলে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মহড়ায় ভারতের পাশে থাকতে চাইছে ভিয়েতনামও । ভারতের সাথে এই বিষয়ে কথা বলা হয়েছে ভিয়েতনামের সঙ্গেও।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে লাদাখে শান্তি ফেরাতে দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা চিনকে বেশ শিক্ষা দেবে। দক্ষিন চীন সাগরে পার্সেল আইল্যান্ড চীন নিজেদের বলে দাবি করে । উল্লেখ্য এই এলাকা বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ । অন্য দিকে জাপানের সাথেও চীনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে । জাপান আগে জানিয়েছিল চিন ৬৬ দিন ধরে সেনকুকু দ্বীপপুঞ্জের সামনে নিজেদের নৌবাহিনী মোতায়েন রাখে। পূর্ব চিন সাগরের ওপর এই দ্বীপ জাপানের এক্তিয়ারভুক্ত। একই অভিযোগ আনে ইন্দোনেশিয়াও।
এই অবস্থায় এতগুলি দেশ যদি চীনের বিরুদ্ধে নামে তাহলে সাগরে চীনের এত দিনের আধিপত্য কায়েম রক্ষা করা বেশ দুরহ হয়ে দাঁড়াবে । চীনের বিরুদ্ধে নামা দেশগুলির মধ্যে ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে, চিনের বিরুদ্ধে অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার চালু করা উচিত। সেক্ষেত্রে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত উপযুক্ত। একে কাজে লাগানো উচিত ভারতের। সব দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে দক্ষিন চীন সাগর নিয়ে নয়াদিল্লী থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তাতে চিন প্রবলভাবে ধাক্কা খাবে ।