বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ যেভাবে প্রতিদিন রেকর্ড মাত্রায় করোনা সংক্রমণ হচ্ছে এবং বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে করোনা পজিটিভ হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ফের একটা জল্পনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে – আবারও কি কড়া লকডাউনের পথে হাটতে চলেছে রাজ্য ! রাজ্যের কিছু কিছু জেলায় সরকারীভাবে যে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তাতে এই জল্পনা আরও উসকে দিচ্ছে ।
আনলক পর্যায়ে লকডাউন ব্যবস্থায় শিথিলতা এসেছে । রাস্তায় মানুষের ঢল । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না ইচ্ছা থাকলেও । এদিকে বাজার, দোকান-পাঠ সবই পুরোপুরি খুলে গিয়েছে । সেখানেও মানুষ মুখে মাস্ক দেওয়া ছাড়া অন্য কোন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না অধিকাংশ সময়ে । এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের একটি পরিকল্পনার খসড়া ফের কড়া লকডাউন হবে কিনা সেই প্রশ্ন ফের উস্কে দিয়েছে। ওই পরিকল্পনায় ১৪ দিনের জন্য বাজার, গণপরিবহণ, ধর্মীয় স্থান বন্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস-কারখানা চালানোর কথা বলা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের হার উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় ফের কি কড়া লকডাউনের পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন ! একদিকে বাজার ঘাট কিম্বা অফিস কাছারির উপর নিয়ন্ত্রন করার একটি খসড়া পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে, অপর দিকে দমদম থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ রাখার প্রস্তাবও রাজ্য সরকার দিয়ে রেখেছে । যদিও তবে কবে থেকে এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে, তার স্পষ্ট কোনও উল্লেখ নেই। বলা হয়েছে, পরিষেবা বন্ধ করার দু’দিন আগে থেকে মাইকে প্রচার করতে হবে।
এই মুহূর্তে হাওড়াকে পিছনে ফেলে করোনা সংক্রমণের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনা সামনে এগিয়ে এসেছে । রাজ্যে কোভিড সংক্রমণে প্রথম কলকাতা এবং তার পরেই উত্তর ২৪ পরগনা। সরকারী প্রশাসন থেকে এই দুই এলাকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চাইছে । এই দুই জেলায় করোনা পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কড়াকড়ির দরকার বলে প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের অভিমত। সূত্রের দাবি, কলকাতার বিভিন্ন থানার ওসি-দের নিজেদের এলাকায় করোনা হটস্পট চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
এদিকে জানা গেছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের সঙ্গে ব্যারাকপুর, বিধাননগরের পুলিশ প্রধান, বারাসত, বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের বৈঠকে আলোচিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সব বাজার-হাট বন্ধ থাকবে। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের একক দোকান খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অটো, টোটো, বাস পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ১০ দিন পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অতি সক্রিয়তা থেকে জল্পনা উঠে আসতে শুরু করেছে তবে কি রাজ্য ফের কড়া লকডাউনের দিকে হাঁটতে চলেছে !