বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আগে শব্দটি না শুনলেও এখন “কোয়ারেন্টাইন” মানুষের মুখে মুখে । কিন্তু কোয়ারেন্টাইন আসলে কি ? এখানে কেনই বা রাখা হয় একজন করোনা আক্রান্তকে ! কিভাবেই বা চিকিৎসা করা হয় কোয়ারেন্টাইনে ? আর কোয়ারেন্টাইনে থাকলে কেন বেশী নিরাপদ থাকা যাবে ?
কোয়ারেন্টাইন আসলে কি ?
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব আতঙ্কের প্রহর গুনছে করোনার সংক্রমণের ভয়ে । চারিদিক থেকে নানা কথা ভেসে আসছে আর আতঙ্ক বাড়ছে । পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত ভারতেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে নোবেল করোনা ভাইরাস । অথচ এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রকৃতি বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেন নি । ফলে সাবধানতা ছাড়া এই রোগের চিকিৎসা বলতে গেলে নেই । এদিকে কোয়ারেন্টাইন কথাটি বার বার উঠে আসছে । কি এই কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা !
যে যার মত করে সতর্ক থাকছে । কিন্তু একটু ভুলে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে । কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ ছয়জনকে একসঙ্গে বা জীবাণুমুক্ত এক রুমে রাখা যায় বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোয়ারেন্টাইনে সর্বোচ্চ চার থেকে ছয়জনকে একসঙ্গে রাখা যায়। এর বেশি হলে সেটা আর কোয়ারেন্টাইন নয়। কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় একজন আরেক জনের সংস্পর্শে না এসে যেন প্রত্যেকেই নিরাপাদে থাকতে পারে।
কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নিয়ে চিকিত্সক শুদ্ধাসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন যে কোয়ারেন্টাইন হল এমন একটি বিশেষ ঘর, যাকে নেগেটিভ প্রেশার রুমও বলা হয়। নেগেটিভ প্রেশার রুম এমনভাবে তৈরি করা হয় যা পুরোপুরি sealed। অর্থাত্ সেই ঘরটি থেকে কোনওভাবে হাওয়া বাইরে আসতে পারে না। এভাবে ঘরটিকে সুরক্ষিত রাখা হয় যাতে সেই ঘর থেকে কোনও জীবাণু বাইরে না আসে। এরফলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা আক্রান্তদের থেকে অন্যরা সুরক্ষিত থাকেন।
কিভাবে চিকিৎসা করা হয় কোয়ারেন্টাইনে ?
কোয়ারেন্টাইনে একসাথে চার থেকে ছ’জন রাখা হয় । সেখানে বাইরে থেকে যেমন জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না, তেমনি ভেতর থেকেও জীবাণু বাইরে বের হতে পারে না । মূলত বিমানবন্দর বা রেলস্টেশনেই তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ ব্যবস্থার ঘর। বিদেশ থেকে আসা যাত্রী বা পর্যটকদের প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনও রকম করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলেই তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে, যাতে তাদের শরীর থেকে অন্য কারও শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে।
কিভাবে কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে ?
বাইরে থেকে এলে প্রথমে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে । অন্য মানুষের সংস্পর্শে তারা যাতে না যায়, সেই কারনে এই ব্যবস্থা । এখানে সাধারণত করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ২ সপ্তাহের কাছা কাছি রাখা হয় । অবশ্য তার মধ্যে সুস্থ হয়ে গেলেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। তাছাড়া যারা চিকিৎসা করবেন তারা অত্যন্ত সতর্কমূলক এবং বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েই কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করেন । বর্তমানে রাজ্যে, ব্যাক্তিগতভাবে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নেই । আপাতত বিমানবন্দর, বড় বড় রেলস্টেশন ছাড়াও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে রয়েছে কোয়ারেন্টাইনের জন্য মোট ৬ টি ঘর ।