বনাঞ্চলে বিপদের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে আগুন নেভানোর কাজ বন্ধ থাকলেও রোববার সকাল থেকে বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবকরা আবারও কাজ শুরু করেছেন। তাদের সহায়তায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর দুটি পৃথক দল যোগ দেয়।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহম্মদ নুরুল করিম আজ সকালে বলেন, “আগুন নেভানোর জন্য সবাই সকালে আবার একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে।” অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে এসিএফ চাঁদপাইয়ের সভাপতিত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধনসাগর থানার ইনচার্জ ও জেউধরা থানার ইনচার্জের তিন সদস্যের কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ শেষ হলে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে।

পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এখনো আগুন জ্বলছে। তিনি বলেন, আগুন লাগার কারণ আমরা এখনো জানতে পারিনি। আগুনের মাত্রা জানা যায়নি।

সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলীয় বন বিভাগে গত দুই বছরে অন্তত ২৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যতবারই আগুন লাগার কারণ সামনে আসে, ততবারই বিড়ি-সিগারেট বা জেলেদের মৌমাছি পোড়ানো মশাল থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু বনবাসীদের প্রশ্ন তারা কেন তাদের জীবিকা নির্বাহে আগুন দেয়? তিনি দাবি করেন, বুলিরা মাছ ধরার জন্য বনের একটি অংশ পুড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে জোয়ার উঠলে তারা সহজেই জাল দিয়ে মাছ ধরে। কিন্তু এর জন্য দায়ী করা হয় বনবাসীদের ওপর।

Nitya Sundar Jana is one of the Co-Founder and Writer at BongDunia. He has worked with mainstream media for the last 5 years. He has a degree of B.A from the West Bengal State University.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.