একাত্তর ও পঁচাত্তরে পরাজিত শক্তি সুযোগ পেলে আবারও হামলা চালাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ৫৪তম স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অজনপ্রিয় হলেও এটা সত্য যে, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র আজও থেমে নেই।
ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো চেষ্টা করছে কিভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়া থেকে আটকানো যায়। চারবারের সরকারপ্রধান বলেন, ৭১-এর পরাজিত সেনাবাহিনী এবং ৭৫-এর খুনি ও তাদের দোসররা এখনও পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে উদগ্রীব। কারসাজির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন বা দুর্বল করা গেলে পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। তাই কান্ডারী সাবধান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালিরা বীরের দেশ। আমরা যুদ্ধ করে এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়- জাতির পিতার নির্দেশিত এই পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ শাসন করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আমাদের বন্ধু আছে। তাই বাঙালি জাতি কখনো কারো রক্তচক্ষু মেনে নেবে না। প্রয়োজনে বাঙালি জাতি হৃদয়ের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সম্মান রক্ষা করবে।
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫৪তম দিনে আসুন সকল ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রের দেয়াল ভেঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘উন্নয়নের পথে কার কথা শুনব/তার ভয় নেই/তার ভয় নেই/যে শেষ পর্যন্ত জীবন বিসর্জন দেয়/তার কোনো ক্ষতি নেই। তার কোন ক্ষতি নেই।
জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের লক্ষ্য এখন পর্যন্ত যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। সেই বাংলাদেশই হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।