ভারত সরকার ‘এক জাতি, এক নির্বাচন’ প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী সংস্কার হিসাবে সমর্থন করেছেন।
কমিটি, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল অবিলম্বে কাজ শুরু করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুপারিশ পেশ করা, বিভিন্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে গঠিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধীদলীয় নেতা গুলাম নবি আজাদ কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন।
অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন এন কে সিং, 15 তম অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান; সুভাষ সি. কাশ্যপ, লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব; সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে; এবং সঞ্জয় কোঠারি, প্রাক্তন চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল কমিটির সভায় বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, এবং আইন বিষয়ক বিভাগের সচিব নিতেন চন্দ্র কমিটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এর মধ্যে সংবিধানের সুনির্দিষ্ট সংশোধনীর সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
কমিটির প্রধান কাজ হল সংবিধান এবং অন্যান্য বিধিবদ্ধ বিধানের অধীনে বিদ্যমান কাঠামো বিবেচনা করে লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলির একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতিগুলি মূল্যায়ন করা এবং প্রস্তাব করা। এর মধ্যে সংবিধান, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, 1950, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, 1951 এবং সংশ্লিষ্ট বিধি ও প্রবিধানের সুনির্দিষ্ট সংশোধনের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এছাড়াও, কমিটিকে ঝুলন্ত ঘর, অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ, দলত্যাগ বা একযোগে নির্বাচনের ফলে উদ্ভূত অন্যান্য ঘটনার মতো পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং সম্ভাব্য সমাধানের পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই কমিটি গঠন ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক স্তরে একযোগে নির্বাচনের অন্বেষণ এবং সম্ভাব্য বাস্তবায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ‘bongdunia’ দেখতে থাকুন। এছাড়াও, অনুগ্রহ করে সাবস্ক্রাইব করুন এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে আমাদের অনুসরণ করুন, এবং TWITTER.com/bongdunia?s=08″ data-wpel-link=”external”>টুইটার,