রাষ্ট্রপতি গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান। সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রদত্ত এক অভিনন্দন ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান দেশবাসীকে ধনী-গরিব নির্বিশেষে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি আজ বঙ্গভবনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে ঈদ উদযাপনের অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এই ঈদেও যুদ্ধ ও আধিপত্য বিস্তারের কারণে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বহু মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মানুষ হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের কষ্ট কমানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন দুঃখ একা অনুভব করা যায়, কিন্তু আনন্দ একা অনুভব করা যায় না; সবাইকে খুশি হতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদ সবার মধ্যে বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন তৈরি করতে হবে। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ুন।
ইসলামকে শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই মহৎ বাণী ও আদর্শ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে আহ্বান জানান চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ ও সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, লেখক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রদান করা হয় বর্তমানে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।