পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবর হোসেন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) তাজিকিস্তানের দুশানবেতে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি’ শীর্ষক তৃতীয় উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনটি জল এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কিত জটিল সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশ্ব নেতা এবং বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করেছিল।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিশ্বকে পানি ব্যবস্থাপনার কৌশল এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতাকে একীভূত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য বৈজ্ঞানিক কৌশল, উদ্ভাবনী সমাধানে বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। উপরন্তু, টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

চলমান জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট জটিল চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান নির্গমন ও তাপমাত্রা হিমবাহের পতন ও গলে যাওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। তুষার, বরফ এবং স্থায়ী মেরু মাটি সহ হিমবাহ গলানোর চ্যালেঞ্জগুলি এখন অস্তিত্বের হুমকিতে পরিণত হয়েছে, দ্রুত এবং স্থায়ী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, হিমবাহ গলে যাওয়া শুধু পানি সরবরাহকেই হুমকির মুখে ফেলছে না বরং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও বাড়ছে, যা সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষকে প্রভাবিত করছে। জলবায়ু কর্মের জন্য একটি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এই জটিল সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন।

এ সময় পরিবেশমন্ত্রী পানি ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের উদ্যোগ ও অভিজ্ঞতার কথাও জানান। তিনি জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো নির্মাণ, টেকসই কৃষির উন্নয়ন এবং আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.