বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়া হাসিনাকে সময় দেবে ভারত সরকার। যাতে তিনি ভেবেচিন্তে সরকারকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেন।

মঙ্গলবার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের বলেছিলেন যে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতে এসেছেন এবং ভারত তাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

আজ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়া হাসিনাকে ভারত সরকার সময় দেবে। যাতে তিনি ভেবেচিন্তে সরকারকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেন।

সোমবার জনপ্রিয় ছাত্র বিদ্রোহের পর পদত্যাগ করার পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর লকহিড C130J হারকিউলিস বিমানে দেশ ত্যাগ করেন।

ভারতের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিনি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে অবতরণের পর।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি কোনো যাত্রী ছাড়াই বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা ভারত থেকে ব্রিটেনের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন। কিছু রিপোর্ট অনুসারে, তিনি এই বিষয়ে ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন।

তবে যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে এখনো কোনো ঘোষণা দেয়নি।

হাসিনার ভারতে আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধান সচিব পি কে মিশ্র, গবেষণা ও বিশ্লেষণ শাখার (আর) প্রধান রবি সিনহা এবং গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)। ) পরিচালক তপন ডেকা।

ভারতের একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশিদিন ভারতে থাকবেন না। তাকে সাময়িকভাবে ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ সময় তারা সরকারের কাছ থেকে যথাযথ রসদ সহায়তা পাবে।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.