কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, খবর পেয়েই তার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসের মূর্ত প্রতীক। তারা অপহরণ, ছিনতাই, খুনসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এর আগে বিভিন্ন অভিযানে এই সন্ত্রাসী গ্রুপের ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের সার্বক্ষণিক নজরদারি ও তৎপরতায় নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে আরসা।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিবেশী দেশগুলোতে নাশকতার ঘটনার কারণে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আমাদের দেশে আসছে বলে তথ্য রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করতে আমরা স্থানীয় থানা ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, যখনই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তখনই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।