গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল হলে যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার একথা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন। তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসসহ সব কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়াচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি এখনই কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করতে যাচ্ছি না।
যাইহোক, সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত হিসাবে, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের, সরকার এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি কার্যকর করা শুরু করেছি যারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত। স্পষ্ট করা আমরা ভিসা নীতির কথা বলেছি কিন্তু কারো নাম উল্লেখ করিনি।
এই ভিসা নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোন বাংলাদেশীর জন্য প্রযোজ্য হবে। যদি আমরা মনে করি যে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন তাহলে আমরা এই নীতি অন্য ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করব।
বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের কর্মচারীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা সেখানে কর্মরত কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ আলোচনা করব না। তবে আমি বলব, অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশনের শর্ত অনুসারে, প্রতিটি আয়োজক দেশের সমস্ত দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া কূটনীতিকদের ওপর যাতে কোনো হামলা না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ সব বিদেশি দূতাবাস ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।