ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। সোমবার হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। ভোট দিতে এসে দেখেন, তালিকায় তার নামের সামনে ‘ডিলিট’ লেখা রয়েছে। অর্থাৎ তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
ভোট দিতে না পেরে মমতার ভাই বলেন, ‘হাওড়ায় নাম নথিভুক্ত করার পর এটাই ছিল আমার প্রথম ভোট। কিন্তু আমি পারিনি। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। যদিও এর জন্য তিনি কাউকে দায়ী করেননি।
স্বপন ব্যানার্জি নির্বাচন কমিশনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের হাওড়া জেলা নেতৃত্বও। তিনি মধ্য হাওড়ার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার।
তিনি 2022 সাল থেকে এই কেন্দ্রের ভোটার। ভোট দিতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন স্বপন। তিনি বলেন, ‘কী হয়েছে বুঝতে পারছি না। আমি 22 বছর বয়সে ভোটার হয়েছি। নাগরিক হিসেবে ভোট একটি অধিকার।
কেন এমন হলো, জানতে চাই।
এর আগে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্বপন। হাওড়ার প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই নাম তিনি কিছুতেই মেনে নেবেন না। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।
এতে রাজ্যের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। এর পর দিল্লি চলে যান স্বপন। তিনি অন্য কোনো দলের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জল্পনা ছিল। স্বপন জানান, প্রসূনের প্রতি তার অ্যালার্জি রয়েছে।
এর পর মমতা জানান, তিনি আর তার ভাইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে চান না। এর পরে মমতা বলেন, আমি সরাসরি বলছি, মানুষ যত বড় হয় তার লোভও বাড়ে। আমি তাকে পরিবারের সদস্য মনে করি না। সব সম্পর্ক ছিন্ন করে।
আমি দীর্ঘদিন ধরে তার অনেক কাজ পছন্দ করি না।” পরে স্বপন ব্যানার্জির সুর পাল্টে যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘সারাজীবন দিদিমণির সঙ্গে থাকব।’