ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। গত সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে রিও ডি জেনিরোতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি। তবে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অনুভূত তাপমাত্রা ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। খবর আল জাজিরার।
শহরের বাসিন্দারা আগুনের তীব্রতা থেকে বাঁচতে সৈকত এবং সুইমিং পুলে পালাচ্ছে। শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই গোসলের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান না।
রিও ডি জেনিরোর বনে ভয়াবহ দাবানলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজসহ অনেক অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা থেকে তাপের তীব্রতা অনুমান করা যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি আর্দ্রতাসহ অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে, রিও ডি জেনিরোর লোকেরা এখন প্রায় 62 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে। একে ‘তাপমাত্রার মতো অনুভূতি’ বলা হয়।
ব্রাজিলের আবহাওয়া অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং আবহাওয়াবিদ রাকেল কোরি বলেছেন, “গত বছরের নভেম্বরে রিওতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 59.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস।”
আবহাওয়াবিদরা অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণ হিসেবে নির্বিচারে গাছ কাটা, বন উজাড়, নিয়মের তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ এবং রাস্তায় অতিরিক্ত যানজটকে দায়ী করছেন।
আবহাওয়াবিদ রাকেল কোরি বলেছেন, ‘আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ জনসংখ্যা যত বাড়ছে, বন উজাড় হচ্ছে, জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবেশের অবনতি হচ্ছে, মনে হচ্ছে প্রচণ্ড তাপ-ঝড়-বন্যা-খরা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’