পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ সংসদে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর দেখবেন বিএনপি প্রেস কনফারেন্স করে, যেখানে বলা হয় এই বাজেট গণবিরোধী, গরিব হত্যাকারী বাজেট, এই বাজেট থেকে কোনো লাভ হবে না। বিএনপিসহ এমন কিছু গ্রুপ আছে যারা তাদের দৃষ্টিতে কিছু পছন্দ করে না। প্রকৃতপক্ষে, গত ১৫ বছরে প্রতিটি বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাগত ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। . রাত ৯টায়।
মন্ত্রী বলেন, যাঁরা নিজেদের বুদ্ধিমান মনে করেন, তাঁদের ভুল কিছু না পেলে বুদ্ধিমান বলা যাবে না। তাই সব কিছুতেই দোষ খোঁজা তাদের অভ্যাস। এ কারণে তিনি বলেন, এই বাজেট সম্ভব নয়। অপসংস্কৃতি যে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে তা বলাই বাহুল্য।
ডাঃ. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিটি বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। আর গত ১৫ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে সাড়ে ১১ গুণ। মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে পাঁচ গুণ। জিডিপির আকার বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। যেখানে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচের জনসংখ্যা ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে 18.7 শতাংশে নেমে এসেছে। চরম দারিদ্র্য 22 শতাংশ থেকে 5.5 শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, বাজেটে দরিদ্রদের সুবিধা না হলে দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্র্য কমবে না। ডলারের তুলনায় মানুষের আয় বেড়েছে সাড়ে পাঁচ গুণ এবং রুপির তুলনায় আরও বেশি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন ও বাজেট বাস্তবায়নের কারণে।
সাংবাদিকরা সমাজের একটি অগ্রসর অংশ, তারা সমাজকে পথ দেখান, তারা সমাজের অস্পষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলগুলো তুলে ধরবেন, এ বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এটি কাজকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে সাহায্য করে। কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায় এমন কিছু রিপোর্ট আছে যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রাজার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেরুল ইসলাম, সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।