শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়টি উঠে আসে। এ সময় অধিদপ্তরের উপ-মুখপাত্র বলেছিলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে তার দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
আমরা বাংলাদেশে সহিংসতার অবসানের পাশাপাশি জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে চাই।
বেদান্ত প্যাটেল, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র
বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ডেপুটি চিফ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদার এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রেখেছি। আমি এখনই এই বিষয়ে ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাচ্ছি না। যাইহোক, আমরা বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে চাই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ব্রিফিং ড. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তির জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার অবসান ঘটাচ্ছে। তিনি দেশে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের সুরক্ষার উপর নতুন সরকারের জোরকে স্বাগত জানান।
দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান কংগ্রেসম্যান সপ্তাহান্তে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় তার হস্তক্ষেপ ও সহায়তা চেয়ে পৃথক চিঠি পাঠিয়েছেন, একজন সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে বলেছেন। চিঠি পেয়েছেন কি না, এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন কি না জানতে চান সাংবাদিক।
জবাবে উপ-প্রধান মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কংগ্রেসের (মার্কিন পার্লামেন্ট) সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমি কোনো নির্দিষ্ট চিঠি বা যোগাযোগের কথা বলছি না। তবে আমি শুধু বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকার, ড. আমরা শান্তির জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানকে স্বাগত জানাই এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার অবসান। আমরা দেশে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের সুরক্ষার উপর নতুন সরকারের জোরকেও স্বাগত জানাই।