নোয়াখালীতে নতুন গ্যাস কূপ আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াশেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪ নামের গ্যাসক্ষেত্রের কূপ খনন করা হয়েছে। গত ছয় মাসে এটি বাপেক্সের দ্বিতীয় সাফল্য।
সোমবার রাত ৮টার দিকে কূপে আগুন লাগে।
দেশে চলমান গ্যাস সংকটের মধ্যে এখান থেকে দৈনিক ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন কর্মকর্তারা। কূপটি চারটি স্তরে 3,113 মিটার গভীরে খনন করা হয়েছে।
বাপেক্স কর্মকর্তারা বলেছেন যে 29 এপ্রিল, 2024 এ শুরু হওয়া ড্রিলিং এবং ডিএসটি পরীক্ষার পরে, এখন সর্বনিম্ন স্তরের উত্পাদন পরীক্ষা চলছে। প্রাথমিকভাবে কূপের চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে। উৎপাদন পরীক্ষার পর জানা যাবে এখানে মজুত গ্যাসের মোট পরিমাণ। পরীক্ষা কার্যক্রমের পর মন্ত্রণালয় বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে। নতুন কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন বিছানো হবে। পাইপলাইন স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
কূপ খনন পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, দেশে তীব্র গ্যাস সংকটের এই সংকটময় মুহূর্তে এই কূপে গ্যাসের সহজলভ্যতা অনেকের আশা জাগিয়েছে। আগামী কয়েকদিনে কূপের প্রতিটি স্তরে গ্যাস ডিএসটি পরীক্ষা করা হবে। তাহলে আপনি কূপের মোট গ্যাসের মজুদ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এক সময় গ্যাস কূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা জড়িত ছিল। কিন্তু এখন এই পরিবর্তন হয়েছে। এই কূপ খননের সাথে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বাংলাদেশের। এটা আমাদের জন্যও অনেক আনন্দের বিষয়। কূপে প্রয়োজনীয় পাইপলাইন বিছানোর পর এই কূপ থেকে গ্যাস অল্প সময়ের মধ্যে গ্রিড লাইনে সরবরাহ করা হবে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ কোম্পানীগঞ্জ জেলার চরকাঙ্করা ইউনিয়নের চরকাঙ্করা গ্রামের সুন্দরপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়া যায়। ওই গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।