দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে গত দুই দিনে ৩২ ট্রাকে ১১৮ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। তবে পদ্মার ইলিশ পেয়ে ভারতীয়রা খুশি হলেও রপ্তানির অজুহাতে দেশে দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০০ টাকা। বর্তমানে দেশের বাজারে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হয় দুই হাজার টাকায় এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয় ১২০০ টাকায়।
ছয় বছর বন্ধ থাকার পর, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় সরকার আবারও ২০১৯ সাল থেকে পূজা উপলক্ষে নির্ধারিত হারে ইলিশ রপ্তানি করছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা উৎসব। আর এই পূজা উৎসবে ইপার পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। সারা বছর তারা পূজার সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসার অপেক্ষায় থাকে এবং সেই ইলিশ দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করবে।
এ বছর ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী গত দুই দিনে ১১৭ মেট্রিক টন রপ্তানি হয়েছে।
এদিকে এক সপ্তাহে ভারতে ইলিশের দাম কেজিতে ৬০০ টাকা বেড়েছে। পছন্দের এ মাছ কিনতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দেশের সাধারণ ক্রেতারা।
বেনাপোল বাজারের ইলিশ বিক্রেতারা জানান, ভারতে রপ্তানির কারণে দেশে ইলিশের সংকট বেড়েছে। যেহেতু আপনি বেশি দামে কিনছেন, তাই আপনাকে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে 2000 টাকায় এবং 500 গ্রাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে 1200 টাকায়।
একই সঙ্গে ভারতীয় ইলিশ আমদানিকারকরা বলছেন, ‘বন্ধুত্বের কারণে পূজার আগে বাংলাদেশি ইলিশ পেয়েছি। এতে আমরা খুবই খুশি। এখন পূজার সময় অতিথিদের আপ্যায়ন করতে পারি।
বেনাপোল বন্দরের মৎস্য ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, সরকারের বিশেষ অনুমতিক্রমে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে ভারতে গেছে ১১৭ টন ৯০০ কেজি ইলিশ। বাকি ইলিশ আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি করা হবে।