দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মানি লন্ডারিং আইনের ২৯টি ধারার মধ্যে মাত্র একটির অধীনে ব্যবস্থা নিতে পারে। বাকি ২৮টি ধারায় অপরাধ সংগঠিত হলেও এর সঙ্গে দুদকের কোনো সম্পর্ক নেই।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে নাগরিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং একটি অপরাধ, ২৯টি অপরাধের মধ্যে মাত্র একটির দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশনের। বাকি ২৮টি অপরাধের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন কিছুই করতে পারে না। সরকারি কর্মচারীরা টাকা পাচার করলে তা দেখতে পারেন। বাকি মামলাগুলোতে মানি লন্ডারিংয়ের দায়িত্ব দেখার সুযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে নেই।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যে অফিসে যায়, সেখানে দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষ যায় না, সেসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির কথা কেউ জানে না, আমরা মিডিয়াতেও দেখি না।
কারও নাম না করে তিনি বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে জয়-পরাজয়ে দুর্নীতি হয়। সেখানে আপনি 10 কোটি টাকা লাভ পাবেন, একজন সরকারি কর্মচারী হয়তো 10, 20 লাখ টাকা। কোনো অভিযোগ নেই, কোনো মিডিয়া নেই, কোনো প্রমাণ নেই। আর প্রমাণ এলেও দুর্নীতি দমন কমিশন এসব প্রমাণ (ডকুমেন্ট) পায় না এবং আপনি মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে কর্মরত ব্যক্তিরা অন্য গ্রহ থেকে আসেননি। তারা সব জায়গায়, ভাল এবং খারাপ. গত দুই বছরে দুদকের ৩০ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ চাকরি হারিয়েছেন, কেউ পদোন্নতিসহ বিভিন্ন শর্তে দণ্ডিত হয়েছেন, কেউ মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও এটিএন নিউজ টিভির প্রধান নির্বাহী সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। ই মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।