ব্যর্থতার মাঝেও চাকরির পেছনে না ছুটে চাকরি দেওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একাদশ জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, পণ্য উৎপাদনই যথেষ্ট নয়। পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পণ্য বিপণনেও মনোযোগ দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশের শিল্পাঞ্চলে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে।
দেশবাসী বলেন, ২০০৯-২৩ সালে বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সেখান থেকে সামনে এগোতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। মানুষের উৎসাহকে কাজে লাগাতে পারলেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এসএমই উদ্যোক্তারা অর্থনৈতিক খাতে পৃথক বা যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন। নারী-পুরুষ সমানভাবে উদ্যোক্তা হতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, কোভিড, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেত। গাজায় ইসরায়েলের হামলা। পণ্য পরিবহন, বিতরণ, আমদানি ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে সরকার এটি নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, শিল্প হতে হবে পরিবেশবান্ধব। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সামান্য টাকা বাঁচিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না। শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শিল্প মন্ত্রণালয়কে শ্রমঘন শিল্পের দিকে নজর দিতে নির্দেশ দেন। যাতে আরও বেশি মানুষ কাজ পায়। নারীদের আরও উদ্যোক্তা হতে হবে। তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কূটনীতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতিকে গুরুত্ব দিতে দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।