ইতালিতে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তিনি ঢাকার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটা) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি নির্ধারিত ফ্লাইট রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
কাতারের দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর বুধবার বাংলাদেশ স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এসময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের অভ্যর্থনা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনে যোগ দিতে ২৩ জুলাই ইতালির রোম যান।
‘মানুষ, গ্রহ এবং সমৃদ্ধির জন্য টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা: একটি ভাগাভাগি যাত্রায় বৈচিত্র্যময় পথ’ থিমের উপর 24-26 জুলাই খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) সদর দফতরে UNFSS+2 সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী 24 জুলাই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
UNFSS+2-এ 20 টিরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান সহ 160 টিরও বেশি দেশের প্রায় 2,000 প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। শেখ হাসিনা ‘ফুড সিস্টেমস অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেও অংশ নেন।
একই দিন সন্ধ্যায় এফএও সদর দফতরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে সদ্য উদ্বোধন করা ‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ’-এ নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এছাড়াও, এফএও সদর দফতরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইতালির তিন মন্ত্রী- কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেস্কো লোব্রিগিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি এবং বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্ডিও।
এএফওর মহাপরিচালক কু ডংইউ, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি)-এর প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি হেনসলি ম্যাককেইনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের ১৫টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের দ্বারা আয়োজিত ‘আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে’ অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং একটি সমঝোতা স্মারক সই করেন। উভয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)- ‘শক্তিতে সহযোগিতা’ এবং ‘কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ বিনিময় করা হয়।
ইতালিতে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য একটি কমিউনিটি রিসেপশনেও অংশ নেন।