বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: গত ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতের পর থেকে ভারতের মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ইসোরা চন্দ্রযান-২ বিক্রমের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারেনি। ল্যান্ডার বিক্রমের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নাসা হ্যালো মেসেজ পাঠিয়েছে। নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি রেডিয়ো ফ্রিকুয়েন্সির মাধ্যমে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগে চেষ্টা চালাচ্ছে৷ বিক্রমকে খোজার জন্য নাসার সাথে ইসোর চুক্তি হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে এই যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। নাসা-র আশা, চন্দ্রযান ২ -এর অরবিটার চাঁদ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও অজানা তথ্য পাঠাবে৷ নাসার জন্য একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, বিক্রম ল্যান্ডারের যেখানে অবস্থান হওয়ার কথা সেখানে যাবে নাসার অরবিটার। তাতে তোলা সব ছবি শেয়ার করা হবে ইসরোর সঙ্গে। তবে সূত্রের খবর, নাসা ইতিমধ্যেই বিক্রমকে খোঁজার জন্য ইসরোকে সাহায্য করতে শুরু করেছে।
বিক্রম এর চাদের মাটিতে পা রাখা নিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যম রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ইসোরার বিজ্ঞানীদের কাছে থাকা ডাটার ভিত্তেতে এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। অরবিটার থেকে চাঁদের দিকে বিক্রমের যেতে সময় লাগার কথা ছিল ১৫ মিনিট। ইসোরার চেয়ারম্যান সিবান যে সময়টিকে ’15 minutes of terror’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।
ইসোরার রিপোর্টে জানা যায় ১১ মিনিট পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। রিপোর্ট বলছে, এর ঠিক পরই বিক্রম ল্যান্ডারটি সামান্য ঘুরে যায়। তাতে চাঁদের পৃষ্ঠের কিছুটা ছবি উঠে আসে। বিক্রম ল্যান্ডিং করার সম্ভাব্য জায়গা বুঝতে খানিকটা ঘুরে যায়। এরমধ্যে ডিগবাজি খায় বিক্রম। এই ডিগবাজিতে সব গন্ডগোল হয়ে যায়। ডিগবাজি খাওয়ায় ল্যান্ডারটি পুরোটাই উল্টে যায়। ল্যান্ডারের সঙ্গে ছিল একটি ইঞ্জিন, যা তাকে সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করত। কিন্তু সেটি উপরের দিকে উঠে যায়। ফলে ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটে। যে ইঞ্জিন আস্তে আস্তে চাঁদের মাটিতে নামিয়ে দিত বিক্রমকে, সেটাই উল্টে গিয়ে বিক্রমকে জোরে ধাক্কা মারে, যাতে সেটি চাঁদের মাটিতে পড়ে যায়।
ভারতের মহাকাষ গবেষনা সংস্থা ইসোরার তথ্য মতে ১১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে দেখা যায় বিক্রমের গতি ৪২.৯ মিটার/সেকেন্ড। খুব দ্রুত এই গতি বেড়ে যায় ৫৮.৯ মিটার/সেকেন্ড। এরপর স্তব্ধ হয়ে বিক্রম। তারপর থেকে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় মহাকাষ গবেষনা সংস্থা ইসোরা তারপর থেকে চেষ্টা চলছে বিক্রমের সাথে যোগাযোগ করার।